প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সাত নারী ভিক্ষা চাইতে এসে বাসায় ঢুকে পানি খেতে চাইছিলেন বা শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই সুযোগে প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন জান্নাতকে অচেতন করে তারা তার স্বর্ণালংকার লুট করে।
ঘটনার পর পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চক্রের আটজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া আটজনের মধ্যে সাতজন নারী এবং একজন পুরুষ। তাদের নাম ও পরিচয় হলো:
রেনু বেগম (৬০), পশ্চিম সুবিদপুর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
মুক্তা বেগম (৩৮), রেনু বেগমের মেয়ে
রৌশন আরা বেগম (৬০), শ্রীকালিয়া গ্রাম
গোলাপী বেগম (৫৮), কাছিয়াড়া গ্রাম, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা
রুবি বেগম (৩৭), গোলাপী বেগমের স্ত্রী
কাকলী বেগম (২৫), কাছিয়াড়া গ্রামের একই এলাকা
শেফালী বেগম (৪৫), মনিপুর গ্রাম, বরুড়া পৌরসভা, কুমিল্লা
সেলিম উদ্দিন (৪০), নায়েরগাঁও, মতলব দক্ষিণ থানা, চাঁদপুর
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেনু বেগমের নেতৃত্বে এই চক্র চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তারা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া ও পেকুয়া এলাকায় ভিক্ষার ছদ্মবেশে অভিযান চালাত। নারীপক্ষ প্রধান বা স্বামী প্রবাসে থাকলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করতেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “নারী হওয়ায় এই চক্র সহজে যেকোনো বাসায় ঢুকে যেতে পারছে। সুযোগ বুঝে তারা অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করছে।”