ঢাকা প্রেস,নিজস্ব প্রতিবেদন:-
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বর্তমানে অবৈধ ড্রেজারের দৌরাত্ম্যে কৃষি জমির বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসের মুখে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা এই সমস্যায় চরমভাবে বিপন্ন। ড্রেজার ব্যবসায়ীদের এক চক্র কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।
সমস্যার বিস্তার:
চাপিতলা ও বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়ন: এই দুটি ইউনিয়নে প্রায় ১০টি অবৈধ ড্রেজার কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
তিন ফসলি জমি: ড্রেজার ব্যবসায়ীরা মূলত তিন ফসলি জমিকে লক্ষ্য করে কাজ করছে, ফলে কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ড্রেজার সিন্ডিকেট: প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ড্রেজার ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট গঠন করে এই অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভয় ও হুমকি: স্থানীয় কৃষকরা এই সিন্ডিকেটের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
পরিবেশগত ক্ষতি: ড্রেজিংয়ের ফলে আশপাশের জমি কূপের মতো জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
অর্থনৈতিক ক্ষতি: কৃষি জমি নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা আয় হারাচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ:
এই ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং ড্রেজার নির্মূলে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
প্রশাসনের ভূমিকা:
উপজেলা নির্বাহী অফিসার: অভিযোগ পেলেই অভিযান চালানো হয়। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সমাধানের পথ:
কঠোর আইন প্রয়োগ: অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি: স্থানীয় জনগণকে এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা: সরকারকে এই সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলা: কৃষি জমি রক্ষা করে একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
মুরাদনগরের এই সমস্যা একটি দৃষ্টান্ত মাত্র। দেশের বিভিন্ন স্থানেও একই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যার সমাধান না হলে দেশের কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পরিবেশ দূষিত হবে। সুতরাং, সরকার, প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণকে একযোগে কাজ করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।image widget