প্রকাশকালঃ
১৩ জুলাই ২০২৪ ০২:৩২ অপরাহ্ণ ৩৮২ বার পঠিত
মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ওয়াদা রক্ষা করা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ করো (সুরা মায়েদা, আয়াত: ১)। অপর আয়াতে এসেছে, ‘আর তোমরা ওয়াদা পূর্ণ করো, ওয়াদা সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৩৪)
ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত। হাদিসে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি- যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, আমানত রাখলে তা খেয়ানত করে এবং প্রতিশ্রুতি দিলে তা ভঙ্গ করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৫৬২)
অপর হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে পতাকা স্থাপন করা হবে এবং বলা হবে, এটা অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ২৮৭২)
কারও মধ্যে ওয়াদা ভঙ্গ করার বৈশিষ্ট্য থাকলে তাকে মুনাফিক হিসেবে গণ্য করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে খালিস মুনাফিক গণ্য হবে। যে কথা বলার সময় মিথ্যা বলে, আর যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে, যখন ঝগড়া করে গালমন্দ করে। যার মধ্যে এগুলোর কোনো একটি স্বভাব পাওয়া যাবে, তার মধ্যে নিফাকের একটি স্বভাব পাওয়া গেল, যে পর্যন্ত না সে পরিত্যাগ করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৯৫৪)
অন্যদিকে, ওয়াদা ভঙ্গকারীর ওপর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা লানত করেছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, সুতরাং তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদের লানত দিয়েছি এবং তাদের অন্তরসমূহকে করেছি কঠোর। তারা শব্দগুলোকে আপন স্থান থেকে বিকৃত করে এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছে, তার একটি অংশ তারা ভুলে গিয়েছে এবং তুমি তাদের থেকে খেয়ানত সম্পর্কে অবগত হতে থাকবে, তাদের অল্প সংখ্যক ছাড়া। সুতরাং, তুমি তাদেরকে ক্ষমা করো এবং এড়িয়ে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ১৩)