কালিগঞ্জে প্রতিবেশিদ্বারা হয়রানি ও দখলকৃত জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:২৬ অপরাহ্ণ   |   ৯০ বার পঠিত
কালিগঞ্জে প্রতিবেশিদ্বারা হয়রানি ও দখলকৃত জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

আবু জাফর,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:-


সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে প্রতিবেশি তৈয়েবা খাতুন ওরফে বাসিরুন ও আবির হোসেনের অত্যাচার, ক্ষয়ক্ষতি, হয়রানি ও হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূর্ব মৌতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে বকুল পারভিন।

 

লিখিত বক্তব্যে বকুল পরিভন বলেন, তার চাচা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আলহাজ¦ আব্দুৃর রাশেদের জমিতে ২০১৫ সাল থেকে ঘরবাড়ি বানাইয়া বসবাস করে আসছিলেন তিনি। চাচা আব্দুর রাশেদ ও চাচী রাজিয়া রাশেদ ২০২২ সালের ২ মার্চ  বসবাস করা জমিসসহ তার নামে ১৭ শতক জমি লিখে দেন। একই দিনে চাচা ও চাচী তার বড় ভাই অহিদুর রহমানের নামে সাড়ে ১৬ শতক জমি লিখে দেন। চাচা বর্তমানে স¦পরিবারে যশোরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। শেখ বানিউল আদম ময়নার মেয়ে মোছাঃ তৈয়বা খাতুন বাসিরুন ও ভাই এসএম আবীর হোসেন তার প্রতিবেশি। চাচা যশোরে বসবাস করার সুবাদে বাসিরুল ও আবির চাচার প্রায় তিন শতক জমি জোর করে দখল করে নেয়।
 

ওই জমির মধ্যে আমার দাদা ও দাদীর কবর, কয়েকটি নারিকেল গাছ, সৃষ্টিফুল গাছ, মেহগণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বণজ গাছ রয়েছে। চাচা ওই গাছের মধ্যে থেকে একটি নারিকেল গাছ দাবি করলেও তারা দেয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তারা তাকে (বকুল) বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাসিরুনের সীমানার মধ্যে ও তাদের সীমানা বরাবর একটি বড় আমড়া গাছ রয়েছে। তার ঘরের চাল এসবেস্টার্স দিয়ে ছাওয়া হওয়ার বাসিরুনকে ওই আমড়া গাছ কেটে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করা হয়। ২০২৪ সালে আমড়া গাছের ডাল ভেঙে আমার কয়েকটি এসবেস্টার্স ভেঙে যায়। 

 

পানি পড়ে ক্ষতি হয় ঘরের ৫০ হাজার টাকার মত ব্যবহারিক জনিসিপত্র। কিন্তু এতে বাসিরুন কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে চাচা ও চাচীর জমিসহ নিজেদের সীমানা নির্ধারণের জন্য বাসিরুন ও আবিয়ারকে অবহিত করে তাদের উপস্থিতিতেই গত ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর মাপ জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। যদিও সীমানা পিলার বসানোর আগেই বাসিরুন ও আবির চলে যায়। জমি মাপার পর নকশা বাসিরুনের স্বামী আব্দুস সাত্তারের কাছে দেওয়া হয়। আপত্তি থাকলে উভয়পক্ষের আমিন নিয়ে মাপজরিপ করতে চাইলে কোন আপত্তি নেই বলে চাচা আব্দুর রাশেদ জানিয়ে দেন বাসিরুল ও আবির হোসেনকে। 
 

গত ১৭ এপ্রিল তিনি তার জমি থেকে দুটি গাছ ভাইঝি মেহেরুনের কাছে বিক্রি করেন। ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় আবিরের ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাড়িত এসে গাছ কাটা ঠিক হয়নি বলে হুমকি দিয়ে  চলে যায়। এমনকি অমাকে হয়রানি করতে আবির ২১ এপ্রিল মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যা অভিযোগ করে।


আমি আবির ও বাসারুলেন হয়রানি এবং হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়াসহ অবৈধভাবে দখল করা দাদা ও দাদীর কবরস্থান, তিন শতক জমি ও জমিতে থাকা গাছ গাছালিসহ আমড়াগাছের ডাল ভেঙে পড়ার কারণে ক্ষতি হওয়া মালামাল ফিরে পেতে পারি সেজন্য সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।