রাজারহাটে নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা

প্রকাশকালঃ ০৫ জুন ২০২৪ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ ১০০৫ বার পঠিত
রাজারহাটে নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা

এম এনামুল সরকার (রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধি):-


ঢাকা প্রেসঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উমরমজিদ ইউনিয়নের পান্থাবাড়ী বালাকান্দি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪টি শূন্য পদে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জনবল নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা।আর এসব নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।বিদ্যালয় সুত্রে জানাগেছে,কম্পিউটার ল্যাব সহকারী১জন, অফিস সহায়ক১জন,নৈশ্য প্রহরী১জন ও ১জন আয়া শূন্য পদের বিপরীতে ৩২টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

এবং যাচাই-বাছাই শেষে ৩২জনকে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কার্ড পাঠানো হয়েছে।জানা গেছে,নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও যোগদান পূর্বেই বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছে নৈশ্য প্রহরী পদে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নাজমুল হাসান ও আয়া পদে শিউলি বেগম।নাম প্রকাশে একাধিক অনিচ্ছুক আবেদনকারীর অভিযোগ কমিটির ঠিক করে রাখা ব্যাক্তিরাই পাবে চাকুরী, বঞ্চিত হবে মেধাবীরা।

প্রতিটি পদে কমিটির আত্মীয় স্বজন ও ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও আবেদনপত্র জমা করছে।তাদেরই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আয়োজন করে নিয়োগ পরীক্ষা।এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগবোর্ড সদস্য শ্রী ধনেশ্বর রায় বলেন বিদ্যালয়ে ৪টি শূন্য পদে ৩২টি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য ৩২টি প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে। ৩২জন পরীক্ষা দিবে,খাতা কাটি রেজাল্ট দেয়া হবে, যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন তিনিই মনোনীত হবেন।

একই ব্যাক্তি দুটি পদে একই দিনের নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করে থাকলে? তিনি কয়টি প্রবেশপত্র পাবেন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেন দুটি প্রবেশ পত্র পাবেন।উমরমজিদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহসানুল কবীর আদিল বলেন ঐ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে,কখন কমিটি গঠন হয়েছে এলাকাবাসী জানেননা হঠাৎ জানতে পাই কয়েকদিন পরেই নিয়োগ পরীক্ষা।বিদ্যালয় গভর্নিং বডি টানা দ্বিতীয়বারের সভাপতি মিজানুর রহমান সরকার বলেন যাচাই বাছাই শেষে পরীক্ষার জন্য কার্ড পাঠানো হয়েছে।

নিয়োগ পরীক্ষায় কার্ড প্রেরিত চাকুরী প্রত্যাশীতদের মধ্যে কেউ কি ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আছে কি?জানতে চাইলে তিনি বলেন কেউ যদি অভিযোগ করে তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ বোর্ড সদস্য মো: আব্দুর রব বলেন নিয়োগবোর্ড তাৎক্ষনিক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র তৈরি করবে।লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যারা হবেন মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে,এবং আবেদন যাচাই-বাছাই ম্যানেজিং কমিটির প্রক্রিয়া।