ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:০৩ অপরাহ্ণ   |   ১০১ বার পঠিত
ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির, ডা. তাসনিম জারা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল), সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এই নোটিশ প্রেরণ করেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি) অশ্লীল ও অনৈতিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
 

নোটিশে বলা হয়, এসব প্ল্যাটফর্মে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট প্রচারের মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি রোধে সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, গেটওয়ে ও লিংক অবিলম্বে বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
 

নোটিশটি মানবাধিকার সংস্থা ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন ও নাঈম সরদারের পক্ষে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রেরণ করা নোটিশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বিটিআরসি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
 

নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমান আইন অনুযায়ী অশ্লীল ভিডিও ও ছবি তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিশেষ করে দণ্ডবিধির ২৬৮, ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ এবং ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ ও ৩০ ধারা অনুযায়ী সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।
 

নোটিশে অভিযোগ করা হয়, অনেক জনপ্রিয় চিকিৎসক, সেলিব্রেটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে নিজেদের পেজ বা চ্যানেলে যৌন উত্তেজক পণ্যের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে কিশোর-কিশোরীসহ নানা বয়সী ব্যবহারকারীরা এসব কনটেন্টে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
 

ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডা. তাসনিম জারাসহ আরও অনেকেই বিভিন্ন পরামর্শমূলক ভিডিওর আড়ালে যৌন উত্তেজক ওষুধ ও সামগ্রীর প্রচার করছেন, যা সমাজে ব্যাপক অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
 

নোটিশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন করবে।