ঢাকা প্রেস
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:-
ময়মনসিংহের তিন উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলা প্লাবিত হয়ে পড়ে। যদিও বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে, কিন্তু এর বিস্তর ক্ষতির চিহ্ন এখনো স্পষ্ট। বিশেষ করে, এই তিন উপজেলার ৩৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে না আসা পর্যন্ত পাঠদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। যদিও পূজা উপলক্ষে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে, কিন্তু বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হয়নি।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন জানান, বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এখনো ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, তিন উপজেলার ২৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এর মধ্যে ৬৩টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, ২১ অক্টোবর স্কুল খোলা হলে ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট হবে। তাৎক্ষণিকভাবে স্লিপের টাকায় মেরামত কাজ শুরু করা হবে এবং পরে বরাদ্দ চাওয়া হবে।
ময়মনসিংহের এই বন্যা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্নির্মাণ করতে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।