ঢাকা প্রেস নিউজ
পরিপাকতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ লিভার। আমরা যা কিছু খাই বা পান করি, সব পরিপাক হওয়ার পর রক্তের মাধ্যমে বিপাকের জন্য লিভারে যায়। নানা কারণে লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে ফ্যাটি লিভার অন্যতম। এ ছাড়াও নানা ধরনের সংক্রমণ হয় লিভারে। এর ফলে লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থকে। লিভারের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন জমতে পারে যেকোনও সময়। এই টক্সিন লিভারের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। কিছু ফল ও খাবার নিয়মিত খেলে লিভার থেকে এই টক্সিন বেরিয়ে যায়।
ফল:
আঙুর: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা লিভারের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
আপেল: পেকটিন ফাইবার লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করে এবং স্বাভাবিক কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
লেবু: ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিভারের জন্য উপকারী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ।
পেঁপে: ভিটামিন এবং পেপটাইড এনজাইম (পাচক রসের মতো কাজ করে) লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অন্যান্য খাবার:
কাঠবাদাম: আর্জিনিন (এ্যামিনো অ্যাসিড) এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে।
সবুজ শাকসবজি: বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের সুরক্ষা ও বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণে সহায়তা করে।
রসুন: অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়াম লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
গাজর: বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষের ক্ষতি রোধ করে।
কফি: ক্যাফেইন লিভার এনজাইম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণে সহায়তা করে।
হলুদ: curcumin লিভারের প্রদাহ কমায় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
মনে রাখবেন:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যপন্যের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মদ্যপান ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। ধূমপান লিভারের জন্য ক্ষতিকর, তাই ত্যাগ করুন। নিয়মিত লিভার ফাংশন পরীক্ষা করিয়ে নিন।
এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোন ঔষধ সেবন বা চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।