কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১০ শতাংশ। সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের নিচে নেমে এসেছে। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৬২ শতাংশ। এরপর টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ঋণ বিতরণ বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরেই এপ্রিলে এসে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আর অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আবার গত বছরের জুলাইয়ের পরই ঋণের সুদহার বেড়েছে অনেক বেশি। জুনের পর সর্বোচ্চ সুদহারের সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়ার পরই তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.২৮ শতাংশ। এই ঋণ বিতরণের হার কমে মে মাসে দাঁড়ায় ১১.১১ শতাংশ। জুন মাসে প্রবৃদ্ধির হার কমে হয় ১০.৪০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২৮ শতাংশ। আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৭৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯.৬৯ শতাংশ। তবে অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১০.০৯ শতাংশ হয়। পরে নভেম্বরে কমে তা হয় ৯.৯০ শতাংশ।