জেদ্দায় হজযাত্রীদের ফুল ও খেজুর দিয়ে বরণ

প্রকাশকালঃ ২৩ মে ২০২৩ ০১:২৮ অপরাহ্ণ ৬০ বার পঠিত
জেদ্দায় হজযাত্রীদের ফুল ও খেজুর দিয়ে বরণ

রোনা মহামারির দুই বছর সীমিত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র হজ। এবার করোনার আগের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ হজ। এবার ২০ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গত রবিবার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার হজযাত্রীদের আগমনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবারের হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

জেদ্দাস্থ কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের হজ টার্মিনালে তাদের ফুল ও খেজুর উপহার দিয়ে বরণ করা হয় এবং ‘হজ মুবারক’ ও ‘হজ মাবরুর’ বলে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক  কো-অপারেশনের (ওআইসি) স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাভেদ পাটওয়ারি। হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে হজযাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দিত।

মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি; বিশেষত হজ কার্যক্রম পরিচালনা করায় সৌদি সরকারের প্রতি।’


এদিকে মালয়েশিয়া থেকে হজযাত্রীদের প্রথম কাফেলা মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। মদিনা অঞ্চলের পাসপোর্ট বিভাগ এবং হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে হজযাত্রার পুরো কার্যক্রমকে আরো সহজ করতে এবং হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে ২০১৯ সালে দি মক্কা রুট উদ্যোগ চালু হয়।

এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের অনলাইন ভিসা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলা ও নিজ দেশে যাত্রীর লাগেজ সাজানো নিশ্চিত করা হয়।


এর আগে গত জানুয়ারি মাসে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ এক্সপোতে হজযাত্রীর সংখ্যা ও বয়সের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়ে আগের মতো বৃহৎ পরিসরে হজ আয়োজনের ঘোষণা দেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়াহ। ২০ লাখের বেশি লোক হজে অংশ নেবেন বলে আশা করেন তিনি। বিভিন্ন দেশের ১২ লাখের বেশি হজযাত্রী আনা-নেওয়ায় ১৭৬টির বেশি বিমান থাকবে। জেদ্দা ও মদিনার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো এবার রিয়াদ, তায়েফ, ইয়ানবু ও দাম্মামসহ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ছয়টি বিমানবন্দর হজযাত্রীদের সেবায় ব্যবহৃত হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। করোনার পর এবারই প্রথম ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালনে অংশ নেবে। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালন করবেন। গত ২১ মে থেকে শুরু হওয়া ফ্লাইট আগামী ২২ জুন পর্যন্ত হজযাত্রীদের নিয়ে যাবে। 

করোনার আগের বছর ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখের বেশি মানুষ পবিত্র হজ পালন করেছেন। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে সৌদিতে বসবাসরত সীমিতসংখ্যক লোক হজ পালন করেন। ২০২১ সালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৬০ হাজার লোক হজ পালন করেন। সর্বশেষ গত বছর বিভিন্ন দেশের ১০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করেন।