যে কারণে ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমির হামজা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:১৩ অপরাহ্ণ   |   ৩০ বার পঠিত
যে কারণে ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমির হামজা

বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য আলোচনায় আসা ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজাকে রাজনৈতিক বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি যেন আর কোনো রাজনৈতিক বিতর্কিত বিষয়ে কথা না বলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
 

আমির হামজা বলেন, “সংগঠনের দায়িত্বশীলরা আমাকে বলেছেন, মাহফিলে যেন কেবল কুরআনের তাফসির নিয়েই আলোচনা করি। রাজনৈতিক বা তুলনামূলক কোনো বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে শুধু কুরআনের ব্যাখ্যাতেই সীমাবদ্ধ থাকব। অন্য বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় জটিলতা তৈরি হয়।”
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম বলতে গিয়ে ভুলবশত মুহসিন হল বলেছি। এটা আমার মুখ ফসকে গেছে। এজন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। অতীতে কিছু অবিচারের ঘটনা আমি ছাত্রদের কাছ থেকে শুনেছি, তবে এভাবে বলা উচিত হয়নি। আগামীতে আমি আরও সতর্ক থাকব।”
 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে দেওয়া বক্তব্য নিয়েও সমালোচনা ওঠায় তিনি জানান, “আমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, কী ঘটত সবার জানা। এখন বলা হচ্ছে মদের বোতলে পানি খাওয়া হয়। যদি আমি ভুল বুঝে থাকি, তার জন্য দুঃখিত। আমি আর এসব বিষয়ে কিছু বলব না।”
 

ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে মা হাওয়ার সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তুলনা টেনে ফেলেছিলাম। এর জন্য আমি ইতোমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন কিছু আর বলব না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
 

এর আগে একটি মাহফিলে তিনি দাবি করেন, গত ১৬ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলে আজান দিতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের কারণে আজান বন্ধ ছিল এবং শিবিরপন্থী প্যানেল ডাকসুতে জয়ী হওয়ার পর আজান চালু হয়। সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন মহল তার তীব্র সমালোচনা করে। এমনকি ছাত্রশিবিরের নেতারাও তার বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চাইতে বলেন।
 

সর্বশেষ মুফতি আমির হামজা সব বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আর রাজনীতি সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে কথা বলবেন না, কেবল কুরআনের ব্যাখ্যাতেই সীমাবদ্ধ থাকবেন।