শেষ দুই বলে দরকার ছিল মাত্র ১ রান। কিন্তু সেই রান তুলতেই বড় সংশয় তৈরি করেছিলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
টানা তৃতীয়বার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হলো মুলতানকে।
ম্যাচের মূলনায়ক ইমাদ ওয়াসিম। প্রথমে বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নেওয়া এবং পরে ব্যাটে ১৭ বলে ১৯ রান করে দলের জয় নিশ্চিত হয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে এই জয় পেতে রোমাঞ্চকর ও রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ইসলামাবাদকে।
মুলতান ব্যাটিংয়ে নামলে দলটির সামনে ত্রাস হিসেবে হাজির হন ইমাদ। এক এক করে ইয়াসির খান, ডেভিড উইলি, জনসন চার্লস, খুশদিল শাহ ও ক্রিস জর্ডানকে শিকারে পরিণত করেন। দলনেতা শাদাব তুলে নেন ৩ উইকেট।
ইমাদ ও শাদাবের আগ্রাসন মোকাবিলা করে উসমান খানের ৪০ বলে ৫৭, অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৬ বলে ২৬ ও ইফতিখার আহমেদের ২০ বলে ৩২ রানে মূলতানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৫৯ রান।
১৬০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইসলামাবাদের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন কলিন মুনরো, আগা সালমান ও শাদাব খানরা। দলীয় ১০২ রানে গাপটিল (৩২ বলে ৫০ রান) ও ১২১ রানে আজম খান (২২ বলে ৩০ রান) আউট হলে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ।
শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১৯ রান। উইকেটে ছিলেন ইমাদ ও নাসিম শাহ। ১৯তম ওভারে দুজনে মিলে তুলে নেন ১১ রান। তাতে শেষ ওভারে ৮ রান তখনও প্রয়োজন। প্রথম চার বলে ৭ রান হলে শেষ ২ বলে মাত্র ১ রান লাগে। পঞ্চম বলে নাসিম শাহ আউট হলে জমে ওঠে লড়াই। তবে শেষ বলে হুনাইন শাহ চার মেরে খেলা শেষ করে দেন।
এর আগে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।