বিদেশি নাগরিকদের মারধর: দুইজন গ্রেপ্তার

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৩ অপরাহ্ণ   |   ১০৭ বার পঠিত
বিদেশি নাগরিকদের মারধর: দুইজন গ্রেপ্তার

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সময় ভুল বোঝাবুঝির জেরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইরানের দুই নাগরিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়রা তাদের ছিনতাইকারী ভেবে ‘মব’ তৈরি করে আক্রমণ চালায়।
 

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশও আক্রান্ত হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাব্বির ও আব্দুল্লাহ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্থানীয় বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
 

ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার এইচ এম শফিকুর রহমান জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় দুই বিদেশির ওপর হামলার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দু’জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
 

পুলিশের তথ্যানুসারে, আহত দুই বিদেশির ভাষ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার দুপুরে তারা এক বাংলাদেশির কাছ থেকে ডলার বদলে টাকা নেন। লেনদেনের সময় ওই বাংলাদেশি অভিযোগ করেন যে তিনি কম ডলার পেয়েছেন। একপর্যায়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদেশিদের বহনকারী গাড়িতে আঘাত করেন। এই দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। ভয় পেয়ে দুই বিদেশি দ্রুত স্থান ত্যাগের চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া করে মারধর করে। এ সময় তাদের গাড়িচালকও হামলার শিকার হন এবং পালিয়ে যান।
 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ আর্থিক লেনদেন করছিল। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট নয়।
 

মারধরের শিকার দুই ব্যক্তি হলেন– ইরানের নাগরিক মোহাম্মদ আহমদ (৭৪) ও তার নাতি মো. মেহেদী (১৮)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা গেছে, তারা বাংলাদেশে পর্যটক হিসেবে এসেছেন। তবে তাদের গাড়িচালকের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
 

ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট ভুক্তভোগী পাওয়া যায়নি। ফলে প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে।
 

এ বিষয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, ইরানি নাগরিকদের ভাষ্য অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বিবরণ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠার কারণ স্পষ্ট নয়। তারা নিরপরাধ কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।