প্রকাশকালঃ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ ৩১৯ বার পঠিত
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি লবঙ্গের আরো একটা গুণ রয়েছে। সেটা স্বাস্থ্যের জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ২টি লবঙ্গ খেলে শরীর অনেক ভালো থাকে। ঠাণ্ডা, গলা ব্যথা থেকে শুরু করে দাঁতের ব্যথাসহ অনেক সমস্যাই কমিয়ে দিতে পারে লবঙ্গ তেল।
এ ছাড়া এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। কারণ এর বেশ কিছু উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের আক্রমণ আটকাতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়মগুলো।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
লবঙ্গের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। টি রক্তচাপ কমাতে, রক্তনালির কার্যকারিতা ভালো রাখতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো দূর করে রক্তকে পরিশোধন করতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
লবঙ্গে থাকা ইউজেনল মস্তিষ্কের কোষগুলোকে চাপ ও প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখতে পারে। এ ছাড়া ধোঁয়া, রোদ এবং ঠাণ্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে গিয়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শ্বসনতন্ত্রের জন্য উপকারী
সর্দি-কাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটির জীবাণুরোধী বৈশিষ্ট্য শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। কাশি, সর্দি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গগুলো উপশম করতে সাহায্য করে। লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে সর্দি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমার সমস্যায় সুফল পাওয়া যায়।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষকদের মতে, লবঙ্গ রক্তের শর্করার নিয়ন্ত্রণ করতে ভালো অবদান রাখতে পারে। এটি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।
দাঁত ও মুখের চিকিৎসায়
মাড়ির ক্ষয় বা দাঁতের ব্যথা রোধে লবঙ্গ সাহায্য করে। মাড়ির সমস্যা জিনজিভাইটিস ও পেরিওডনটাইটিস হলে এটি ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের সাধারণ উপকরণ এই লবঙ্গ। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ তুলনাহীন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় ২টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতে হবে। কয়েকটি মুখে রেখে চিবালেই আপনার নিঃশ্বাস হয়ে উঠবে তরতাজা।
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল, যার শক্তিশালী প্রদাহরোধী গুণ আছে। নিয়মিত লবঙ্গ খেলে আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহজনিত রোগে আরাম পাওয়া সম্ভব। জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা, হাঁটুতে, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে
পেটের অসুখ এবং জ্বর থেকে সেরে ওঠার পরে খাবারে অরুচি দেখা দেয়। সকালে খালি পেটে ও দুপুরে খাবারের পর লবঙ্গ খাওয়া হলে খাবারে রুচি ফিরে আসবে।