২০২৪ সালে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হবে মরক্কোর মারাকেশ শহর। গত ২ মে এই ঘোষণা দেন দেশটির যুব, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী মেহদি বিনসাইদ। ইসলামিক এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেসকো) আয়োজিত ‘রাবাত মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ২০২২’ সম্মেলনের শেষ অধিবেশনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
১৯৮৫ সালে ইউনেসকো মারাকেশ শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। রেড সিটি খ্যাত মারাকেশ শহর মরক্কোর অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। এখানে রয়েছে আন্দালুসিয়ান স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ও প্রাসাদ। এখানকার কাসবাহ, কাউতুবিয়া মসজিদ, বেন ইউসেফ মাদরাসা, সাদিয়ান সমাধি এবং জামা এল ফানা স্কয়ারসহ অনেক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা সারা বিশ্বের পর্যটকদের নজর কাড়ে। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপ অ্যাডভাইজারে বিশ্বের পর্যটকবান্ধব শহর হিসেবে অষ্টম স্থান অধিকার করে। তা ছাড়া ভোগ ম্যাগাজিনের ‘বেস্ট উইন্টার সান’ বা সেরা শীতকালীন সূর্যের শহর হিসেবে তা পর্যটকপ্রিয় স্থানের তালিকাভুক্ত হয়।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে (আইসেসকো) প্রতিবছর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শহরকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ২০০৫ সালে মক্কা নগরী মুসলিম বিশ্বের প্রথম সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়।
২০২৩ সালে মৌরিতানিয়ার নোয়াকচোট শহর, ২০২২ সালে মরক্কোর রাজধানী রাবাত, ২০২১ সালে কাতারের রাজধানী দোহা, ২০২০ সালে মিসরের রাজধানী কায়রো এবং উজবেকিস্তানের প্রাচীন শহর বুখারা মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়। প্রতি দুই বছরে একবার নির্বাচিত রাজধানী শহর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীদের নিয়ে একটি ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করে।