মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-
এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতিক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪.৩০ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির মাও: আবুজার গিফারী এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি আবু বকরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মেয়র মো: নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান, জেলা সহকারি সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা চেয়্যারম্যান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাও রফিকুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি থাকা অবস্থায় জামায়াতের নেতৃত্বকে শূন্য করার জন্য তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার এটিএম আজহারুল ইসলামকে কেন্দ্রীয় অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তিনি হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার পর তাকে পুনরায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এবং মিথ্যা সাজানো সাক্ষ্যপ্রমানের ভিত্তিতে তার মামলার রায় দেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম অন্যায় এবং মিথ্যা মামলা থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে কিন্তু অনেককে মুক্তি দেওয়া হলেও এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমরা তার দ্রুত মুক্তি চায়।
সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী সরকার তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাতানো ফাঁদ পেতেছিলো। আজকের এই পেক্ষাপটে দাড়িয়ে বর্তমান সরকারকে বলতে চায়, ১৬ বছর ধরে ভারতের আশীর্বাদপুষ্ঠ আওয়ামী সরকার টিকে থাকতে পারেনি। আগামীদিনে যদি ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোন ষড়যন্ত্র করা হয় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দিবে ইনশাআল্লাহ। অনতিবিলম্বে কারা নির্যাতিত জনপ্রিয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। কোনরকম টালবাহনা চলবেনা। কিছু দলের নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হবে আর জামায়াতের নেতাদের বন্দি রাখা হবে এই বৈষম্য চলবেনা।
সভাপতির বক্তব্য মাও: আবুজার গিফরী বলেন, এই সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল। অতএব এই সরকারের বৈষম্যবিরোধী কোন আচরণ করা যাবেনা। এই ধরনের আচরণ জনগন কখনো মেনে নেবেনা। শুভবুদ্ধির পরিচয় দিন, অনতিবিলম্বে আমাদের এটিএম আজহারুল ইসলামকে ছেড়ে দিন। জামায়াতের নিবন্ধন অতিদ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে। জামায়াতের প্রতিক দাড়িপাল্লা ফিরিয়ে দিতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় এবং মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে শান্তিমোড়ে গিয়ে শেষ হয়।