ঢাকা প্রেস
জিহাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (৫৩) নামের এক ব্যবসায়ীয় কাছে চাঁদার দাবিতে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
যাহার মামলা নং - ৩২, তাঃ ২৬/১২/২৪ ইং। ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৮৫/৩৮০/৪২৭/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড।
মামলার বিবাদীরা হলেন ১। এহসান উদ্দিন (৫৩) (বন্দর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান) পিতা মোসলেহ উদ্দিন সাং- নবীগঞ্জ কুশিয়ারা ২। মোঃ তানজিল (৩৩) ৩। মিনতাজ (২৮), উভয় পিতা- গোলাম হোসেন, ৪। গোলাম হোসেন (৬৫) পিতা- মৃত সিরাজ উদ্দিন সরদার, ৫। মোঃ বাপ্পি (৩২), পিতা মাজু ৬। মোঃ শান্ত (২৮) পিতা হানিফ মিয়া ৭। সালাম (৫৫), পিতা মৃত নয়ব আলী ৮। হাসান (২৮), পিতা- মোঃ হাবিব ৯। রিফাত (২৭), পিতা- রহমান, ১০। রহমান (৫৬), পিতা- মৃত মুল্লুক চাঁন ১১। জাহিদ (২৮) পিতা রহমান ১২/ বুলেট (২৮), পিতা- অজ্ঞাত, ১৩। মোঃ সালাউদ্দিন (৩২) পিতা অজ্ঞাত ১৪। জয় পিতা মাজু সর্ব সাং- নবীগঞ্জ, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত আরো ৪৫/৫০ জন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানাধীন টি হোসেন রোড এলাকায় বাদী নিয়াজ উদ্দিন এর কদমরসুল কমিউনিটি সেন্টার নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত ১নং বিবাদীর নির্দেশে অপরাপর বিবাদীগণ তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় উপরোক্ত বিবাদীরা বাদীকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে নেয়। পরবর্তীতে বিবাদীরা বাদীর কাছ থেকে পুনরায় ২,০০,০০০/ টাকা চাঁদা দাবি করে থাকে। বিবাদীদের দাবিকৃত সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীকে নানাভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদীদের দাবিকৃত ২লক্ষ টাকা বাদী দিতে অস্বীকৃতি জানালে উল্লেখিত বিবাদীগন গত ২৫/১২/২৪ইং তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ০৫.৩০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন টি হোসেন রোডে অবস্থিত বাদীর মালিকানাধীন কমিউনিটি সেন্টারে বাদী নিয়াজ উদ্দিন ও তার ছোটো ভাই মোঃ ফয়সাল (৩০) অবস্থান কালে নবীগঞ্জ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার, হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি তানজিল সহ প্রায় ৪০/৪৫ জন বিবাদীরা পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ধারালো রামাদা, চাপাতি, আগ্নেয়াস্ত্র ও এস এস পাইপ নিয়ে বেআইনী ভাবে কমিউনিটি সেন্টারে অনাধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা করে কমিউনিটি সেন্টারের কাচের গ্লাস,থাই গ্লাস, চেয়ার, সিলিং ফ্যান এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৩,০০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় বাদী বিবাদীদেরকে বাধা প্রদান করলে ২নং বিবাদী তানজিল তার হাতে থাকা এস.এস পাইপ দিয়ে আঘাত করিয়া বাদীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। একপর্যায়ে ৫নং বিবাদী বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো রামদা দিয়ে হাঁটুর নিচের অংশে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ২নং বিবাদী বাদীর ভাগিনা মোঃ বাবু (৩৯) কে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে বাদীর ভাগিনা কোনোরকমে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এছাড়াও অভিযুক্ত ৩-৮ নং বিবাদীগন বাদীকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে গুরুতর নীলাফুলা জখম করে । ৯নং বিবাদী বাদীর কমিউনিটি সেন্টারের ক্যাশের মধ্যে থাকা নগদ ৮০,০০০/- টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনকে মুঠোফোনে কল করলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম পিপিএম জানান, এই ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা রুজু হয়েছে। দ্রুত মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।