হোসেন বাবলা (চট্টগ্রাম):-
চট্টগ্রাম মহানগরীতে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকটি চোর চক্র জনসাধারণের পকেট হতে নগদ টাকা, মোবাইল ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নগর বাসীর।
চোর চক্রটি কখনো কখনো যাত্রীবেশী সাধারণ মানুষের মতো মিশে গিয়েও এই কাজ করে থাকে। এছাড়া তারা বিভিন্ন উৎসব বা অনুষ্ঠানেও এই ধরনের অপরাধ বেশি করে থাকে।
এচক্র গুলো চুরি -ছিনতাইয়ের সময় কখনো কখনো হিংসাত্মক আচরণপূর্বক ভিকটিমকে মারধর করতঃ জোর করে মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তারা চুরি/ছিনতাইকৃত মোবাইল গুলো অধিক দামে দেশের বিভিন্ন জেলা সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মায়ানমার, নেপাল ও ভারতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বলে ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুলাই '২৫ ইং তারিখে সিএমপি'র মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের কর্মরত এসআই(নি:)-মোঃ রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযানে রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর কোতয়ালী থানাধীন মুসলিম হাইস্কুলের গেটের সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, নন্দনকানন ৩নং গলি, হরিশদত্ত লেইন এর ১৫ নং রশিদ মঞ্জিলের (নিচ তলায়)২টি কক্ষে কতিপয় ব্যক্তি চোরাইকৃত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করতেছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে চোরচক্রের সদস্য ১। মোঃ তানভির হাসনাইন (৩২), পিতা- আবদুল হান্নানসাং- পশ্চিম বাকলিয়া (ডিসি রোড), ১৭নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- চকবাজার, থানা- বাকলিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম, ২। মোঃ সোহেল উদ্দিন (৩২), পিতা- মৃত আবু তাহের,সাং- বড় হাতিয়া, আমতলী, ডাকঘর- বড় হাতিয়া, থানা- লোহাগড়া,বর্তমানে- ১৫ নং রশিদ মঞ্জিল, হরিশদত্ত লেইন, ৩নং গলি, নন্দনকানন, থানা- কোতোয়ালী,৩। মোঃ রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৬), পিতা- মৃত আব্দুল মালেক প্রকাশ বাদশা মিয়া, সাং- মুছাপুর মালেকের নতুন বাড়ী, থানা- কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, ৪। মোঃ মোহাম্মদ হোসাইন (২২), পিতা- মোঃ ফরিদুল আলম,সাং- উত্তর চরমবা (বানোয়ার পাড়া), ডাকঘর- লোহাগড়া, থানা- লোহাগড়া, জেলা- চট্টগ্রাম,৫। আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭), পিতা- মোঃ কবির আহাম্মদ, থানা- সাতকানিয়া,বর্তমানে- মন্নান শপিং কমপ্লেক্স, রিয়াজউদ্দিন বাজার, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- চট্টগ্রাম, কর্মস্থল- চট্টগ্রাম দের গ্রেফতার করেন।
ধৃত আসামীরা চোরাই মোবাইল আছে মর্মে স্বীকার করে। অতঃপর আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানোমতে ০২নং আসামী সোহেলের ভাড়াকৃত কক্ষ তল্লাশী করে তাদের দেখানো মতে ঘরের মেঝতে থাকা ১। ৩৪২ টি বিভিন্ন মডেলের ব্যবহৃত মোবাইল সেট, যার আনুমানিক মুল্য-৩০,০০০০০/-, ২। ০৬টি পুরাতন ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং চোরাই মোবাইল ও ল্যাপটপ ক্রয়-বিক্রয়ের নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) উদ্ধার করেন।
তারা আরো জানান,চট্টগ্রামনগরীর বিভিন্ন এলাকা হতে চুরি ও ছিনতাইয়ের মোবাইল এবং মালামাল গুলো অধিক দামে দেশের বিভিন্ন জেলা সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মায়ারমার, নেপালে ও ভারতে পাঠিয়ে দেয় ।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ তানভির হাসনাইন (৩২) ও মোঃ সোহেল উদ্দিন (৩২)’দ্বয়ের বিরুদ্ধে সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা সহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ০৪টি মামলা এবং আসামী মোঃ রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৬) এর ০৫টি মামলা রয়েছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানায়।