ফটিকছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০১ জুন ২০২৫ ০৪:৫২ অপরাহ্ণ   |   ১৮০ বার পঠিত
ফটিকছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-

 

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৪৫টি গরুর হাট বসেছে। পশুর সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।
 

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবছর কোরবানির জন্য উপজেলায় পশুর চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার হলেও প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার পশু। এর মধ্যে রয়েছে ৩৪,২১১টি গরু, ৪,১১২টি মহিষ, ২৮,৭৪০টি ছাগল এবং ২,৩৫৬টি ভেড়া। ফলে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ২০ হাজারেরও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে বাজারে।
 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিপুল সংখ্যক গরু এনেছেন। কেউ কেউ সরাসরি খামার থেকেই গরু বিক্রি করছেন। শতাব্দী অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ এনাম জানান, তার খামারে লালন করা ২০টি গরু তিনি খামার থেকেই বিক্রির পরিকল্পনা করেছেন।
 

হারুয়াছড়ি ইউনিয়নের খামারি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, তিনি বড় ও ছোট মিলিয়ে ৫০টিরও বেশি গরু এনেছেন, যার মধ্যে বেশ কিছু ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। অন্যদিকে, নানুপুর ইউনিয়নের মো. রাসেদ তার খামারের উন্নত জাতের দুটি গরু “কালা মানিক”-এর দাম রেখেছেন ২২ লাখ টাকা।
 

তবে হাটে বেচাকেনা এখনও পুরোপুরি জমে না উঠলেও বিক্রেতারা আশা করছেন, ঈদের তারিখ যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে ক্রয়-বিক্রয়ের গতি।
 

এদিকে, সড়কে পশুর হাট বসিয়ে জনদুর্ভোগ এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, এ বছর কোনো মহাসড়ক বা অননুমোদিত স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।
 

এছাড়া, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন জানিয়েছেন, প্রতিটি হাটে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হবে, যা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে পরিচালিত হবে। এসব ক্লিনিকে ভেটেরিনারি সার্জনরা পশুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেবেন।