কাইয়ুম চৌধুরী, সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাড়বকুণ্ড ও কুমিরা এলাকায় পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাড়বকুণ্ড মুছা কলোনীর পুরাতন বস্তা ব্যবসায়ী দিদারুল আলম জানান, নুরনবী বাড়ির দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন, প্লাস্টিক ও চটের বস্তা সংগ্রহ ও সরবরাহের ব্যবসা করে আসছেন। সোমবার গভীর রাতে কে বা কারা তার দুটি গুদামে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
দিদারুল আলম বলেন....
“গুদামে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে বা অর্ধেক পুড়ে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে। গুদামে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না; আগুন লাগার শঙ্কায় আমি আগেই লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলাম। কেউ শত্রুতাবশত আমার এ বড় ধরনের ক্ষতি করেছে—কেন করেছে জানি না, তবে আল্লাহ ন্যায় বিচার করবেন বলে বিশ্বাস করি।”
বাড়ির মালিকের ছেলে জামাল জানান, তাদের বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন........
“রাতে ছাদে পাথর ছোড়া, দরজায় লাথি মারা, বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো—এসব চলছিল। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সেবা লাইনও কেটে নেয়। এখন ভাড়াটিয়ার গুদামে আগুন লাগিয়ে ৫/৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে। অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন জানায়, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্লাস্টিকের বস্তা থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু গুদামে কোনো বিদ্যুৎ লাইন ছিল না, তাই শত্রুতাজনিত কারণে অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুমিরা বাজারের নাজিম স্টোরে রাত দেড়টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কুমিরা ফায়ার স্টেশনের অফিসার আহসান আলী জানান,
“খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে পুরো কুমিরা বাজার রক্ষা পেয়েছে।”
দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।