ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আগামী ৫ মে থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের এ কর্মসূচি চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। 'প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ'-এর ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষকদের প্রধান দাবি হলো: চাকরিতে প্রবেশের সময় ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতির জটিলতা দূর করা এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ তৈরি করা। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান জানান, 'প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি লেভেলে ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং চার বছর পর ১১তম গ্রেডে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে। তবে আমরা চাই এন্ট্রি লেভেলেই ১১তম গ্রেড এবং উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতির জটিলতা দূর করা হোক। প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।'
তিনি আরও জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে—
৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি,
১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি,
২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে ২৬ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে 'প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি' গঠন করা হয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়। সুপারিশে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।