হোসেন বাবলা (চট্টগ্রাম):-
গতকাল (৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানাধীন ০১ নং মাইলের মাথা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির লরির সজোরে ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারানো বাঁশখালীর বাসিন্দা ছাত্র মোহাম্মদ তামিম এর মৃত্যুর খবর শুনে রবিবার (৬ জুলাই) রাতে বাবা সৈয়দ নেজাম উদ্দীন স্ট্রোক করেছে বলে জানা যায়।
এই বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী উপজেলার ৪ নম্বর বাহারচড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহামুদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যম কে জানাই।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় একই দিনে মাইলের মাথা থেকে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নেভি ঈসা খাঁন এলাকায় আবারো দূর্ঘটনা করলে নেভাল পুলিশের সহায়তায় ঘাতক ট্রাঙ্ক লরি কে ইপিজেড পুলিশ টিম জব্দ করেছে।
দুটি দূর্ঘটনায় দুজন নিহত হলেও অপর জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাহারচড়া ইউপি সদস্য মনজুরুল ইসলাম জানান, পেশায় ছাত্র মোহাম্মদ তামিম বিকালের দিকে বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেল চালিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে ইপিজেড থানাধীন ০১ নং মাইলের মাথা এলাকায় দূর্ঘটনায় নিহত হন।
নিহত মোহাম্মদ তামিম বাঁশখালী উপজেলার বাহার চড়া ইউনিয়নের জুম্মুুন মিয়াজির বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ নেজাম উদ্দীনের পুত্র।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তার লাশ বাঁশখালী আনার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে পিতার স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এই নিয়ে এলাকায় শোকের মাতম চলছে।