মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে কতিপয় ভারতীয় নাগরিক বৈধ যাত্রী ভিসার আড়ালে অবৈধ বাণিজ্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কাজে সহযোগিতা করছে সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু অসাধু বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।বিসয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকার বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। তবে কিছু বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারী নির্দিষ্ট ভারতীয় নাগরিকদের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য আনায়ন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী কেবল ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রয়োজনীয় মালামাল বহন করতে পারেন, কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ব্যবসায়িক পণ্য বহন করা হচ্ছে।
১৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ভারতীয় নাগরিক হাইয়ুল শেখ (পাসপোর্ট নং: Y9496659, পিতা: কেতা শেখ, গ্রাম: মাহাদীপুর মাস্টার পাড়া, থানা: ইংলিশ বাজার, জেলা: মালদা) সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের সময় তার কাছ থেকে ভারতীয় জিলেট ব্লেড ২,২৫০টি এবং নিভিয়া ক্রিম ১,৮০০টি—মোট ৮০ কেজি ওজনের পণ্য জব্দ করে বিজিবি। আশ্চর্যের বিষয়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় বা অন্য কোনো মালামাল তিনি বহন করেননি।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মালামালগুলো রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। এ কারণে তা জব্দ করে কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, হাইয়ুল শেখ এর আগে ৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেছেন এবং ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে ১০৮ কেজি অতিরিক্ত পণ্য আনায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে মালামালসহ ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সোনামসজিদ আইসিপি দিয়ে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধে কড়া নজরদারি চলছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশি অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগও চলছে।