মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসক বলেছে, একটি কিশোরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুরো একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য রাষ্ট্র বা সমাজে কল্পনাও করা যায় না।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত কিশোর স্থানীয় একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান থাকা সত্ত্বেও স্থানীয়ভাবে মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক প্রচারণা চালানো হয় এবং একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক সংঘবদ্ধ হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয় এবং এলাকায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশাসনের ভাষ্যমতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আসক বলেছে, ধর্মীয় অনুভূতির অজুহাতে সংখ্যালঘুদের ওপর বারবার যেভাবে হামলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এসব ঘটনায় অধিকাংশ সময় অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়, যা বিচারহীনতার এক ভয়াবহ সংস্কৃতি গড়ে তুলছে। এটি সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্রের নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
এই প্রেক্ষাপটে আসক তিন দফা দাবি জানিয়েছে:
১, হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
২, আক্রান্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ;
৩, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে রাষ্ট্রের কার্যকর ও দৃঢ় ভূমিকা পালন।