দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৩৪৭ প্রার্থী।
তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন ১৯০২ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র এবং নিবন্ধিত ২৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী আছেন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশ স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্রদের তালিকায় বেশ কয়েকজন বর্তমান সংসদ-সদস্যও আছেন। তারা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসাবে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।
রোববার বিকালে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে। ওই সময়ের পর চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আজ সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হবে প্রচারযুদ্ধ। প্রার্থীদের প্রচারের সুবিধার্থে এদিন থেকে ভোটবিরোধী সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আর ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
গতকাল রাতে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সংখ্যা ছিল ২৭১৬। যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয় ৭৩১। বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হয় ৫৬০টি। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে আসে ২৮৬ জনের। আপিল নামঞ্জুর হয়েছিল ২৭৪টি। সারা দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি। স্থগিত আছে ৫টি। প্রত্যাহার শেষে এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৯৬টি। তিনি বলেন, এখন মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ২৮টি রাজনৈতিক দলের থেকে একটি দল অর্থাৎ গণতন্ত্রী পার্টি বাদ গেছে। প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের আচারণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সচিব।
এদিকে রোববার হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬ জন। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-মুন্সীগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ স্বতন্ত্র মো. গোলাম রব্বানী ও বগুড়া-৩ স্বতন্ত্র মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছিল। সেখান থেকে একটি দল বাদ পড়েছে, অপরটির তথ্য পাওয়া যায়নি। বিএনপিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় শরিক জোটের দলগুলোকে ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই ৩২টি আসনে সরকারি দলের কোনো প্রার্থী থাকছে না। দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে জাতীয় পার্টি ২৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ তিনটি, দুটি ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটি জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তাদের সমর্থনে নিজ দলের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এর ফলে বেশিরভাগ আসনেই নিজেদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন যারা : এদিকে রোববার সারা দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র অনেক প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঢাকা : ঢাকা-১ মুক্তিজোটের আব্দুর রহিম ও জাকের পার্টির মো. লুৎফর রহমান খান, ঢাকা-২ জাকের পার্টির আবুল কালাম, ঢাকা-৩ জাকের পার্টির আব্দুল রাজ্জাক ও জাতীয় পার্টির হাজী ফারুক, ঢাকা-৪ জাকের পার্টির মো. রবিউল ইসলাম, ঢাকা-৫ জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম, ঢাকা-৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারহানা সাঈদ, জাকের পার্টির তারিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৭ জাকের পার্টির বিপ্লব চন্দ্র বনিক ও জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল, ঢাকা-৮ জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম লিটন, ঢাকা-৯ জাকের পার্টির মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ, জাসদের নিলাঞ্জনা রিফাত, ইসলামী ঐক্য জোটের মো. লোকমান শেখ, ঢাকা-১০ জাকের পার্টির মো. হুমায়ুন কবীর, ঢাকা-১১ একই দলের মো. মাসুদ রানা, ঢাকা-১২ একই দলের হুমায়ূন কবির, ঢাকা-১৩ জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৪ জাতীয় পার্টি (জেপি) শেখ শহীদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জাকির হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ জাকের পার্টির মাইনুল ইসলাম, ঢাকা-১৬ জাকের পার্টির আমিনুল ইসলাম, ঢাকা-১৭ জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নাজমুন নাহার, ঢাকা-১৮ জাকের পার্টির মো. শরিফ হোসেন ও আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ জাকের পার্টির মো. শামসুদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা-২০ জাকের পার্টির সাইদুর রহমান।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালাম ও নোমান আল মাহমুদ। এছাড়া চট্টগ্রাম-১ সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম-২ বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য ফ্রন্টের এমএ মতিন, চট্টগ্রাম-১৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাম্মদ এমরানুল হক ও জাসদের কামাল মোস্তফা চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও চট্টগ্রাম-১১ জসিম উদ্দিন বাবুল।
ময়মনসিংহ, গৌরীপুর ও ত্রিশাল : ময়মনসিংহ-২ জাসদের অ্যাডভোকেট এসএম শিব্বির আহমেদ লিটন ও জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা, ময়মনসিংহ-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী, ময়নসসিংহ-৪ জাসদের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৫ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাসদের মো. শামছুল আলম খান, ময়মনসিংহ-৬ জাসদের সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ-৭ জাসদের রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক, ময়মনসিংহ-৮ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-১০ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান ও ময়মনসিংহ-১১ জাসদের মো. সাদিক হোসেন।
রংপুর : রংপুর-১ আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের সাকলাইন সবুজ প্রামাণিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুম আলী, রংপুর-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি ও জাকের পার্টির আশরাফুজ্জামান, রংপুর-৩ আওয়ামী লীগের তুষার কান্তি মন্ডল ও জাকের পার্টির লায়লা আনজুমানয়ারা বেগম লাকী, রংপুর-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাকিবুর রহমান মাস্টার, রংপুর-৫ জাকের পার্টির শামীম মিয়া ও রংপুর-৬ একই দলের বেদারুল ইসলাম।
সিলেট : সিলেট-১-এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ছাড় দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। একই আসনে জাকের পার্টির আব্দুল হান্নান, সিলেট-২ মো. ছায়েদ মিয়া ও আলতাফুর রহমান সোহেল, সিলেট-৪ আলী আকবর ও সিলেট-৫-এ তৃণমুল বিএনপির কয়সর আহমদ কাওছার।
কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণপাড়া : কুমিল্লা-৮ সাবেক সংসদ-সদস্য স্বতন্ত্র নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, কুমিল্লা-৪ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাদিয়া সাবা, কুমিল্লা-১ এটিএম ওবায়দুল হক, কুমিল্লা-২ আব্দুল লতিফ স্বপন, কুমিল্লা-৫ ইঞ্জি. মো. সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ মো. শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা-১১ শাহ আলম মোল্লা, কুমিল্লা-৮ ও ৯ আসনে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাফুল ইসলাম টিটু ও জাকের পার্টির মো. নাছির উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, কিশোরগঞ্জ-৫ জাকের পার্টির মো. নাজমুল হক ও কিশোরগঞ্জ-৬ জাকের পার্টি মো. আ. হাকিম।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা-১ জেলা জাসদ নেতা শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা-২ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জাকের পার্টির শেখ ইফতেখার আল মামুন ও ওয়ার্কার্স পার্টির মো. তৌহিদুর রহমান, সাতক্ষীরা-৪ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদা খানম।
বগুড়া : বগুড়া-১ স্বতন্ত্র আবদুর রহমান, বগুড়া-২ আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক, জাকের পার্টির আজগর আলী ফকির, বগুড়া-৩ আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা, বগুড়া-৪ আওয়ামী লীগের হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জাকের পার্টির আবদুর রশিদ সরদার, বগুড়া-৫ জাকের পার্টির মাছুম রানা ওয়াসীম, বগুড়া-৬ জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক, বগুড়া-৭ জাকের পার্টির নাজির মাহমুদ রতন ও স্বতন্ত্র ফারুক আহম্মেদ।
নোয়াখালী, সেনবাগ, চাটখিল : জাকের পার্টির চার প্রার্থীসহ মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন নোয়াখালী-১ মো. মোশারেফ হোসেন (জাকের পার্টি) ও স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী-২ এটিএম হোসেন হায়দার (জাকের পার্টি), নোয়াখালী-৩ মো. বাহার উদ্দিন (জাকের পার্টি), নোয়াখালী-৪ মো. সোহরাব উদ্দিন (জাকের পার্টি)। নোয়াখালী-১ জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নোয়াখালী-৩ এবিএম জাফর উল্যাহ (স্বতন্ত্র), আক্তার হোসেন ফয়সাল (স্বতন্ত্র) ও নোয়াখালী-৬ স্বতন্ত্র বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট-১ জাতীয় পার্টির মো. হাবিবুল হক বসুনিয়া, জাকের পার্টির মানিকুর রহমান, লালমনিরহাট-২ মুসলিম লীগের বাদশা মিয়া, স্বতন্ত্র মোছা. হালিমা খাতুন, লালমনিরহাট-৩ জাকের পার্টির শফিউজ্জামন মিয়া।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী-১ তৃণমূল বিএনপির মো. সুলতান ও জাকের পার্টির আবুবকর সিদ্দিক, রাজবাড়ী-২ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ জাকের পার্টির আব্দুর রহিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা খুরশিদ আলম বাচ্চু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ জাকের পার্টির বাবলু হোসেন।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনা-২ জাকের পার্টির মানিক চন্দ্র সরকার ও নেত্রকোনা-৩ একই দলের মো. সুরুজ আলী।
পঞ্চগড় : পঞ্চগড়-১ বর্তমান সংসদ-সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধান, জাসদ (ইনু) প্রার্থী ফারুক আহাম্মদ, জাকের পার্টির সুমন রানা ও আনিছুর রহমান ও পঞ্চগড়-২ জাকের পার্টির শাহ আলম।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম।
পিরোজপুর : পিরোজপুর-১ মোহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম ডালিম (জাসদ), মো. ফরহাদ হোসেন (জাকের পার্টি), পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ), মো. ফয়সাল (জাকের পার্টি), পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান (আওয়ামী লীগ), চন্দ্র শেখর ওঝা (জাকের পার্টি)।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা-১ আওয়ামী লীগের আফরুজা বারী ও জাকের পাটির মোশারফ হোসেন, গাইবান্ধা-২ আওয়ামী লীগের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, জহুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৩ তোফাজ্জল হোসেন ও গাইবান্ধা-৪ আবুল কালাম।
নীলফামারী : নীলফামারী-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম বাবুল ও জাকের পার্টির লতিবালী রহমান লতিফ, নীলফামারী-২ জাকের পার্টির আবু সাঈদ, নীলফামারী-৩ আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও জাসদের অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, নীলফামারী-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াৎ হোসেন।
চাঁদপুর : চাঁদপুর-৪ স্বতন্ত্র জাহিদুল ইসলাম রোমান, জাকের পার্টির মো. নুরুল ইসলাম বেপারী, চাঁদপুর-১ জাতীয় পার্টির একেএসএম সহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. মাসউদুল আহসান, চাঁদপুর-২ জাকের পার্টির মো. ওবায়েদ মোল্লা ও চাঁদপুর-৫ জাকের পার্টির মো. মুকবুল আহমেদ।
নওগাঁ : নওগাঁ-১ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী, নওগাঁ-২ একই দলের এসজেএমআর ফারুক, নওগাঁ-৩ একই দলের আলাল হোসেন, নওগাঁ-৪ একই দলের দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ-৫ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ও জাকের পার্টির মশিউর রহমান, নওগাঁ-৬ জাকের পার্টির রবি রায়হান।
কক্সবাজার : কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির এএইচ সালাউদ্দীন মাহমুদ, কক্সবাজার-২ জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ-১ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, জাকের পার্টির ইয়াছমিন আক্তার মুন্নি ও হবিগঞ্জ-২ তৃণমূল বিএনপির মো. ছাদিকুর মিয়া তালুকদার ও হবিগঞ্জ-৪ জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের।
কুড়িগ্রাম ও রৌমারী : কুড়িগ্রাম-১ আছলাম হোসেন সওদাগর (আওয়ামী লীগ) আব্দুল হাই (জাকের পার্টি), কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী (আওয়ামী লীগ), কুড়িগ্রাম-৩ সাহের মিয়া (জাকের মিয়া), কুড়িগ্রাম-৪ আবু হানিফ (স্বতন্ত্র) ও শাহ আলম (জাকের পার্টি)।
ফরিদপুর : ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগম কৃক।
লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরিদুন্নাহার লাইলি ও লক্ষ্মীপুর-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনীন্দ্র কুমার নাথ।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ-৪ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের আবু তাহের মো. রুহুল আমিন ও সুনামগঞ্জ-১ বিকল্প ধারার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম।
ফেনী : ফেনী-১ বর্তমান সংসদ-সদস্য জাসদের শিরিন আখতার, জাকের পার্টি রহিম উল্যা ভূঞা, ফেনী-২ জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম, ফেনী-৩ নৌকার প্রার্থী আবুল বাশার ও জাকের পার্টির আবুল হোসেন।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-১ জাকের পার্টির মো. রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২ একই দলের এনামুল হক মনজু, টাঙ্গাইল-৩ একই দলের আব্দুল আজিজ খান, টাঙ্গাইল-৪ মুরাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ জাকের পার্টির মো. দুলাল মিয়া, টাঙ্গাইল-৬ জাতীয় পার্টির আব্দুর রহিম ও জাকের পার্টির রাকিব হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানি ও মো. মোশারফ হোসেন, টাঙ্গাইল-৮ আব্দুল জলিল।
নরসিংদী : নরসিংদী-১ আওলাদ হোসেন মোল্লা (জাকের পার্টি), নরসিংদী-২ আলতামাশ কবির (স্বতন্ত্র), কামরুল আশরাফ খান (স্বতন্ত্র), জায়েদুর কবির (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নরসিংদী-৩ ফেরদৌসী ইসলাম (স্বতন্ত্র), নরসিংদী-৪ মো. ফয়সাল মিয়া (জাকের পার্টি), নরসিংদী-৫ বিল্লাল মিয়া (জাকের পার্টি)।
গাজীপুর : জেলার ৫টি আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে ৫ জনই জাকের পার্টির। এছাড়া গাজীপুর-১ তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুল জব্বার সরকার ও জাতীয় পার্টির মো. আল-আমিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও-১ ওয়ার্কার্স পার্টির ইমরান হোসেন চৌধুরী ও জাকের পার্টির মাহবুবর রহমান, ঠাকুরগাঁও-২ জাকের পার্টির নূর আলম সিদ্দিকী ও তৃণমূল বিএনপির মোজাফফর হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আওয়ামী লীগের ইমদাদুল হক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ সালাউদ্দিন।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাট-১ জাসদের আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন ও জয়পুরহাট-২ জাকের পার্টির মো. গোলাম রাসূল।
বাগেরহাট : বাগেরহাট-১ জাকের পার্টির শেখ গোলাম ফারুক চান ও বাগেরহাট-৪ একই দলের বাদল রেজা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৩৪৭ প্রার্থী। তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন ১৯০২ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র এবং নিবন্ধিত ২৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী আছেন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশ স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্রদের তালিকায় বেশ কয়েকজন বর্তমান সংসদ-সদস্যও আছেন। তারা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসাবে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।
রোববার বিকালে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে। ওই সময়ের পর চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আজ সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হবে প্রচারযুদ্ধ। প্রার্থীদের প্রচারের সুবিধার্থে এদিন থেকে ভোটবিরোধী সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আর ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
গতকাল রাতে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সংখ্যা ছিল ২৭১৬। যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয় ৭৩১। বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হয় ৫৬০টি। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে আসে ২৮৬ জনের। আপিল নামঞ্জুর হয়েছিল ২৭৪টি। সারা দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি। স্থগিত আছে ৫টি। প্রত্যাহার শেষে এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৯৬টি। তিনি বলেন, এখন মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ২৮টি রাজনৈতিক দলের থেকে একটি দল অর্থাৎ গণতন্ত্রী পার্টি বাদ গেছে। প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের আচারণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সচিব।
এদিকে রোববার হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬ জন। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-মুন্সীগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ স্বতন্ত্র মো. গোলাম রব্বানী ও বগুড়া-৩ স্বতন্ত্র মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছিল। সেখান থেকে একটি দল বাদ পড়েছে, অপরটির তথ্য পাওয়া যায়নি। বিএনপিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় শরিক জোটের দলগুলোকে ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই ৩২টি আসনে সরকারি দলের কোনো প্রার্থী থাকছে না। দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে জাতীয় পার্টি ২৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ তিনটি, দুটি ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটি জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তাদের সমর্থনে নিজ দলের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এর ফলে বেশিরভাগ আসনেই নিজেদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন যারা : এদিকে রোববার সারা দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র অনেক প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঢাকা : ঢাকা-১ মুক্তিজোটের আব্দুর রহিম ও জাকের পার্টির মো. লুৎফর রহমান খান, ঢাকা-২ জাকের পার্টির আবুল কালাম, ঢাকা-৩ জাকের পার্টির আব্দুল রাজ্জাক ও জাতীয় পার্টির হাজী ফারুক, ঢাকা-৪ জাকের পার্টির মো. রবিউল ইসলাম, ঢাকা-৫ জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম, ঢাকা-৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারহানা সাঈদ, জাকের পার্টির তারিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৭ জাকের পার্টির বিপ্লব চন্দ্র বনিক ও জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল, ঢাকা-৮ জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম লিটন, ঢাকা-৯ জাকের পার্টির মোহাম্মদ মফিজ উল্লাহ, জাসদের নিলাঞ্জনা রিফাত, ইসলামী ঐক্য জোটের মো. লোকমান শেখ, ঢাকা-১০ জাকের পার্টির মো. হুমায়ুন কবীর, ঢাকা-১১ একই দলের মো. মাসুদ রানা, ঢাকা-১২ একই দলের হুমায়ূন কবির, ঢাকা-১৩ জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৪ জাতীয় পার্টি (জেপি) শেখ শহীদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জাকির হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৫ জাকের পার্টির মাইনুল ইসলাম, ঢাকা-১৬ জাকের পার্টির আমিনুল ইসলাম, ঢাকা-১৭ জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নাজমুন নাহার, ঢাকা-১৮ জাকের পার্টির মো. শরিফ হোসেন ও আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ জাকের পার্টির মো. শামসুদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা-২০ জাকের পার্টির সাইদুর রহমান।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালাম ও নোমান আল মাহমুদ। এছাড়া চট্টগ্রাম-১ সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম-২ বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য ফ্রন্টের এমএ মতিন, চট্টগ্রাম-১৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাম্মদ এমরানুল হক ও জাসদের কামাল মোস্তফা চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও চট্টগ্রাম-১১ জসিম উদ্দিন বাবুল।
ময়মনসিংহ, গৌরীপুর ও ত্রিশাল : ময়মনসিংহ-২ জাসদের অ্যাডভোকেট এসএম শিব্বির আহমেদ লিটন ও জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা, ময়মনসিংহ-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী, ময়নসসিংহ-৪ জাসদের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৫ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাসদের মো. শামছুল আলম খান, ময়মনসিংহ-৬ জাসদের সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ-৭ জাসদের রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক, ময়মনসিংহ-৮ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-১০ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান ও ময়মনসিংহ-১১ জাসদের মো. সাদিক হোসেন।
রংপুর : রংপুর-১ আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের সাকলাইন সবুজ প্রামাণিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুম আলী, রংপুর-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি ও জাকের পার্টির আশরাফুজ্জামান, রংপুর-৩ আওয়ামী লীগের তুষার কান্তি মন্ডল ও জাকের পার্টির লায়লা আনজুমানয়ারা বেগম লাকী, রংপুর-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাকিবুর রহমান মাস্টার, রংপুর-৫ জাকের পার্টির শামীম মিয়া ও রংপুর-৬ একই দলের বেদারুল ইসলাম।
সিলেট : সিলেট-১-এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ছাড় দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। একই আসনে জাকের পার্টির আব্দুল হান্নান, সিলেট-২ মো. ছায়েদ মিয়া ও আলতাফুর রহমান সোহেল, সিলেট-৪ আলী আকবর ও সিলেট-৫-এ তৃণমুল বিএনপির কয়সর আহমদ কাওছার।
কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণপাড়া : কুমিল্লা-৮ সাবেক সংসদ-সদস্য স্বতন্ত্র নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, কুমিল্লা-৪ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাদিয়া সাবা, কুমিল্লা-১ এটিএম ওবায়দুল হক, কুমিল্লা-২ আব্দুল লতিফ স্বপন, কুমিল্লা-৫ ইঞ্জি. মো. সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ মো. শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা-১১ শাহ আলম মোল্লা, কুমিল্লা-৮ ও ৯ আসনে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাফুল ইসলাম টিটু ও জাকের পার্টির মো. নাছির উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, কিশোরগঞ্জ-৫ জাকের পার্টির মো. নাজমুল হক ও কিশোরগঞ্জ-৬ জাকের পার্টি মো. আ. হাকিম।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা-১ জেলা জাসদ নেতা শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা-২ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জাকের পার্টির শেখ ইফতেখার আল মামুন ও ওয়ার্কার্স পার্টির মো. তৌহিদুর রহমান, সাতক্ষীরা-৪ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদা খানম।
বগুড়া : বগুড়া-১ স্বতন্ত্র আবদুর রহমান, বগুড়া-২ আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক, জাকের পার্টির আজগর আলী ফকির, বগুড়া-৩ আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা, বগুড়া-৪ আওয়ামী লীগের হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জাকের পার্টির আবদুর রশিদ সরদার, বগুড়া-৫ জাকের পার্টির মাছুম রানা ওয়াসীম, বগুড়া-৬ জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক, বগুড়া-৭ জাকের পার্টির নাজির মাহমুদ রতন ও স্বতন্ত্র ফারুক আহম্মেদ।
নোয়াখালী, সেনবাগ, চাটখিল : জাকের পার্টির চার প্রার্থীসহ মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন নোয়াখালী-১ মো. মোশারেফ হোসেন (জাকের পার্টি) ও স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী-২ এটিএম হোসেন হায়দার (জাকের পার্টি), নোয়াখালী-৩ মো. বাহার উদ্দিন (জাকের পার্টি), নোয়াখালী-৪ মো. সোহরাব উদ্দিন (জাকের পার্টি)। নোয়াখালী-১ জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নোয়াখালী-৩ এবিএম জাফর উল্যাহ (স্বতন্ত্র), আক্তার হোসেন ফয়সাল (স্বতন্ত্র) ও নোয়াখালী-৬ স্বতন্ত্র বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট-১ জাতীয় পার্টির মো. হাবিবুল হক বসুনিয়া, জাকের পার্টির মানিকুর রহমান, লালমনিরহাট-২ মুসলিম লীগের বাদশা মিয়া, স্বতন্ত্র মোছা. হালিমা খাতুন, লালমনিরহাট-৩ জাকের পার্টির শফিউজ্জামন মিয়া।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী-১ তৃণমূল বিএনপির মো. সুলতান ও জাকের পার্টির আবুবকর সিদ্দিক, রাজবাড়ী-২ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ জাকের পার্টির আব্দুর রহিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা খুরশিদ আলম বাচ্চু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ জাকের পার্টির বাবলু হোসেন।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনা-২ জাকের পার্টির মানিক চন্দ্র সরকার ও নেত্রকোনা-৩ একই দলের মো. সুরুজ আলী।
পঞ্চগড় : পঞ্চগড়-১ বর্তমান সংসদ-সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধান, জাসদ (ইনু) প্রার্থী ফারুক আহাম্মদ, জাকের পার্টির সুমন রানা ও আনিছুর রহমান ও পঞ্চগড়-২ জাকের পার্টির শাহ আলম।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম।
পিরোজপুর : পিরোজপুর-১ মোহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম ডালিম (জাসদ), মো. ফরহাদ হোসেন (জাকের পার্টি), পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ), মো. ফয়সাল (জাকের পার্টি), পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান (আওয়ামী লীগ), চন্দ্র শেখর ওঝা (জাকের পার্টি)।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা-১ আওয়ামী লীগের আফরুজা বারী ও জাকের পাটির মোশারফ হোসেন, গাইবান্ধা-২ আওয়ামী লীগের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, জহুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৩ তোফাজ্জল হোসেন ও গাইবান্ধা-৪ আবুল কালাম।
নীলফামারী : নীলফামারী-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম বাবুল ও জাকের পার্টির লতিবালী রহমান লতিফ, নীলফামারী-২ জাকের পার্টির আবু সাঈদ, নীলফামারী-৩ আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও জাসদের অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, নীলফামারী-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াৎ হোসেন।
চাঁদপুর : চাঁদপুর-৪ স্বতন্ত্র জাহিদুল ইসলাম রোমান, জাকের পার্টির মো. নুরুল ইসলাম বেপারী, চাঁদপুর-১ জাতীয় পার্টির একেএসএম সহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. মাসউদুল আহসান, চাঁদপুর-২ জাকের পার্টির মো. ওবায়েদ মোল্লা ও চাঁদপুর-৫ জাকের পার্টির মো. মুকবুল আহমেদ।
নওগাঁ : নওগাঁ-১ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী, নওগাঁ-২ একই দলের এসজেএমআর ফারুক, নওগাঁ-৩ একই দলের আলাল হোসেন, নওগাঁ-৪ একই দলের দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ-৫ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ও জাকের পার্টির মশিউর রহমান, নওগাঁ-৬ জাকের পার্টির রবি রায়হান।
কক্সবাজার : কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির এএইচ সালাউদ্দীন মাহমুদ, কক্সবাজার-২ জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ-১ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, জাকের পার্টির ইয়াছমিন আক্তার মুন্নি ও হবিগঞ্জ-২ তৃণমূল বিএনপির মো. ছাদিকুর মিয়া তালুকদার ও হবিগঞ্জ-৪ জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের।
কুড়িগ্রাম ও রৌমারী : কুড়িগ্রাম-১ আছলাম হোসেন সওদাগর (আওয়ামী লীগ) আব্দুল হাই (জাকের পার্টি), কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী (আওয়ামী লীগ), কুড়িগ্রাম-৩ সাহের মিয়া (জাকের মিয়া), কুড়িগ্রাম-৪ আবু হানিফ (স্বতন্ত্র) ও শাহ আলম (জাকের পার্টি)।
ফরিদপুর : ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগম কৃক।
লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর-৪ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরিদুন্নাহার লাইলি ও লক্ষ্মীপুর-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনীন্দ্র কুমার নাথ।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ-৪ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের আবু তাহের মো. রুহুল আমিন ও সুনামগঞ্জ-১ বিকল্প ধারার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম।
ফেনী : ফেনী-১ বর্তমান সংসদ-সদস্য জাসদের শিরিন আখতার, জাকের পার্টি রহিম উল্যা ভূঞা, ফেনী-২ জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম, ফেনী-৩ নৌকার প্রার্থী আবুল বাশার ও জাকের পার্টির আবুল হোসেন।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল-১ জাকের পার্টির মো. রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২ একই দলের এনামুল হক মনজু, টাঙ্গাইল-৩ একই দলের আব্দুল আজিজ খান, টাঙ্গাইল-৪ মুরাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ জাকের পার্টির মো. দুলাল মিয়া, টাঙ্গাইল-৬ জাতীয় পার্টির আব্দুর রহিম ও জাকের পার্টির রাকিব হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানি ও মো. মোশারফ হোসেন, টাঙ্গাইল-৮ আব্দুল জলিল।
নরসিংদী : নরসিংদী-১ আওলাদ হোসেন মোল্লা (জাকের পার্টি), নরসিংদী-২ আলতামাশ কবির (স্বতন্ত্র), কামরুল আশরাফ খান (স্বতন্ত্র), জায়েদুর কবির (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), নরসিংদী-৩ ফেরদৌসী ইসলাম (স্বতন্ত্র), নরসিংদী-৪ মো. ফয়সাল মিয়া (জাকের পার্টি), নরসিংদী-৫ বিল্লাল মিয়া (জাকের পার্টি)।
গাজীপুর : জেলার ৫টি আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে ৫ জনই জাকের পার্টির। এছাড়া গাজীপুর-১ তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুল জব্বার সরকার ও জাতীয় পার্টির মো. আল-আমিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও-১ ওয়ার্কার্স পার্টির ইমরান হোসেন চৌধুরী ও জাকের পার্টির মাহবুবর রহমান, ঠাকুরগাঁও-২ জাকের পার্টির নূর আলম সিদ্দিকী ও তৃণমূল বিএনপির মোজাফফর হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আওয়ামী লীগের ইমদাদুল হক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ সালাউদ্দিন।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাট-১ জাসদের আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন ও জয়পুরহাট-২ জাকের পার্টির মো. গোলাম রাসূল।
বাগেরহাট : বাগেরহাট-১ জাকের পার্টির শেখ গোলাম ফারুক চান ও বাগেরহাট-৪ একই দলের বাদল রেজা।
মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল : মৌলভীবাজার-২ মো. বদরুল ইসলাম (জাসদ), মৌলভীবাজার-৪ মো. নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও জাতীয় পার্টির মো. মস্তান মিয়া।
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজার-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মো. মোস্তান মিয়া ও স্বতন্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।
মৌলভীবাজার-২ মো. বদরুল ইসলাম (জাসদ), মৌলভীবাজার-৪ মো. নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও জাতীয় পার্টির মো. মস্তান মিয়া।
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজার-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মো. মোস্তান মিয়া ও স্বতন্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।