লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে ২০ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টার পর এবং বৃহস্পতিবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে। পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন নারী, ২ জন পুরুষ এবং ৭ জন শিশু রয়েছে।
ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা পুশইনের শিকার ব্যক্তিদের আটক করে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিজিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
প্রথম দফা পুশইন:
পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের সীমান্তে প্রধান পিলার ৮২৬-এর ৬ নম্বর উপ-পিলারের রহমতপুর গাটিয়ারভিটা এলাকা দিয়ে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার গোমতি ক্যাম্পের ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ৭ নারী ও ৪ শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। এরপর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের ধবলসুতি ক্যাম্পের সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪০০ গজ ভেতর থেকে তাদের আটক করেন।
দ্বিতীয় দফা পুশইন:
বৃহস্পতিবার ভোরে একই উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সীমান্তে প্রধান পিলার ৮৪৬-এর ৪ নম্বর উপ-পিলারের ঝালঙ্গী পকেট এলাকা দিয়ে ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের জামালদহ ক্যাম্পের সদস্যরা আরও ৪ নারী, ৩ শিশু ও ২ জন পুরুষকে বাংলাদেশে পুশইন করে। ঘটনাটি টের পেয়ে বিজিবির ঝালঙ্গী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ৫০০ গজ ভেতর থেকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা ভারতের গুজরাট রাজ্যে এক মাস ধরে জেলহাজতে ছিলেন। পরে সেখান থেকে এনে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন,
“বিএসএফ কর্তৃক মোট ২০ জন নারী, শিশু ও পুরুষকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বিজিবি তাদেরকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”