নিষেধাজ্ঞা শেষেও জেলেদের দুর্দিন, কারণ বৈরী আবহাওয়া

প্রকাশকালঃ ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২:১২ অপরাহ্ণ ৭৩ বার পঠিত
নিষেধাজ্ঞা শেষেও জেলেদের দুর্দিন, কারণ বৈরী আবহাওয়া

ঢাকা প্রেস নিউজ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও প্রতিকূল আবহাওয়া জেলেদের জীবন-জীবিকাকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত জেলেরা বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিরাশ হয়েছেন।


কক্সবাজারের জেলেরা সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরও বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছেন না। ফলে তাদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে। এছাড়া, সরকারি সহায়তার অভাব এবং ট্রলারের দুর্ঘটনাও জেলেদের দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে উঠে আসা প্রধান বিষয়গুলো:

  • বৈরী আবহাওয়া: নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়া সত্ত্বেও বৈরী আবহাওয়া জেলেদের সাগরে যাওয়া থেকে বিরত রাখছে।
  • দুর্ঘটনা: কিছু ট্রলার বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
  • অর্থনৈতিক ক্ষতি: জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যার ফলে তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
  • সরকারি সহায়তার অভাব: অনেক জেলে দাবি করছেন যে, সরকারের বরাদ্দের চাল তারা পাননি।
  • মৎস্য উৎপাদনে হ্রাস: বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
     

এই পরিস্থিতির সম্ভাব্য কারণ:

  • জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈরী আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • অপর্যাপ্ত প্রস্তুতি: জেলেরা বৈরী আবহাওয়ার মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুত নয়।
  • সরকারি নীতি: সরকারের মৎস্য খাতের নীতিমালায় কিছু খামতি থাকতে পারে।
  • দুর্নীতি: সরকারি সহায়তা বিতরণে দুর্নীতির ঘটনা ঘটতে পারে।
     

সমাধানের উপায়:

  • আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নত করা: জেলেদের আগাম আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়া।
  • জেলেদের প্রশিক্ষণ: বৈরী আবহাওয়ার মোকাবিলা করার জন্য জেলেদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
  • সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি করা: জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি করা এবং সেটি নিশ্চিত করা যে সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে।
  • দুর্নীতি দমন: সরকারি সহায়তা বিতরণে দুর্নীতি দমন করা।
  • মৎস্য খাতের নীতিমালা পর্যালোচনা: মৎস্য খাতের নীতিমালা পর্যালোচনা করে তা আরও জেলেবান্ধব করে তোলা।

 

কক্সবাজারের জেলেদের দুর্দশা একটি জরুরি সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং সুশীল সমাজকে একত্রে কাজ করতে হবে। জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন এবং মৎস্য খাতের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।