মোহাম্মদ করিম, বিশেষ প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধুরং খালের মানিকপুর আঠারঠিলা এলাকায় সম্প্রতি ভয়াবহ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। খালের পাড়ে বড় ধরনের ভূমিধসে আশপাশের কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এবং সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—পাড় থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে ফটিকছড়ি-লক্ষিছড়ি সংযোগ সড়ক।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুম সহ সারাবছর অতিরিক্ত বালু উত্তোলন এবং সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও খালে পানির প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙনটি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। খালের পাড়ঘেঁষে থাকা কলাগাছ, ফসলি জমি, এমনকি বসতবাড়ির সীমানাও এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। কিছু স্থানে ফসলি জমি ইতিমধ্যেই ধসে পড়েছে বা হেলে পড়েছে, যা স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
ভাঙনের কারণে কয়েকটি স্থানে জমির উচ্চতা ও স্তর ধসে গিয়ে গভীর খাদে রূপ নিয়েছে। ফলে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশগত ঝুঁকিও বাড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ভাঙনের বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ফটিকছড়ি-লক্ষিছড়ি সড়কটি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি হলে পুরো এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনরোধে কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলেই নদী-খালপাড়ের মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাঁরা দ্রুত ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণ ও খালপাড় সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধী ব্লক বা গাইড ওয়াল নির্মাণ না করলে এটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।