পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ
প্রকাশকালঃ
১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ ১৯৬ বার পঠিত
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে পদ্মার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘনকুয়াশায় নৌ-পথ অস্পষ্ট হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
জানা যায়, রাত দেড়টার পর বৃষ্টির মতো ঘনকুয়াশা পড়তে থাকলে নৌ-পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে মাঝ নদীতে লোড নিয়ে শাহ পরান ও কেরামত আলী দুটি ফেরি আটকা পড়ে।
ফলে এ দুই নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ পারাপারের বাস কোচসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যাত্রীরা ঘাট এলাকায় এসে আটকা পড়েন। ফলে নদী পারাপারে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এতে তীব্র শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আব্দুস সালাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘনকুয়াশার ঘনত্ব কমতে থাকলে এ নৌ-পথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হবে।
দুর্ভোগে যাত্রীরা
কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়া যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজারের বেশি ফেরি চলাচল করে। এ নৌরুটে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ নদী পারাপারের জন্য ফেরি ব্যবহার করেন। আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটেও প্রতিদিন গড়ে ১ হাজারের বেশি ফেরি চলাচল করে। এ নৌরুটে প্রতিদিনও হাজার হাজার মানুষ নদী পারাপারের জন্য ফেরি ব্যবহার করেন।
কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীর ভোগান্তি বেড়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।