আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ-
কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক যুবকের লাশ মৃত্যুর এক বছর ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া এলাকায় লাশ উত্তোলন শুরু হয়ে বিকেল ৫টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এসময় মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান উপস্থিত ছিলেন। নিহত যুবক শফিউল্লাহ (১৮) ডুমুরিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে শফিউল্লাহ ও তার বন্ধু সোহাগ মোটরসাইকেলে করে হোমনা উপজেলায় খেলা দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের রঘুনাথপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা সড়কে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই শফিউল্লাহ মারা যান এবং গুরুতর আহত সোহাগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ঘটনার পর প্রথমে মৃত্যুকে স্বাভাবিক দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হলেও প্রায় এক মাস পর নিহত শফিউল্লাহ’র বাবা মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা। তিনি আদালতে মামলা দায়ের করে বড় আলীরচর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে সিএনজি চালক মাইন উদ্দিনকে আসামি করেন। তার অভিযোগ, শত্রুতার জেরে মাইন উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে বেপরোয়া গতিতে সিএনজি চালিয়ে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেন, এতে শফিউল্লাহ ও সোহাগ নিহত হন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহ’র লাশ উত্তোলন করা হলেও নিহত সোহাগ মিয়ার লাশ তোলা হয়নি। কারণ তার পরিবার এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না করে উত্তোলনের বিরোধিতা করে।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাকিব হাসান খান জানান, আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহ’র লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। তবে সোহাগ মিয়ার পরিবার অভিযোগ না করায় তার লাশ উত্তোলন করা হয়নি।