আদালতে হাজির করা হলো হেভিওয়েট নেতাদের, পিছমোড়া করে পরানো হলো হাতকড়া

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫৭ অপরাহ্ণ   |   ৯৬ বার পঠিত
আদালতে হাজির করা হলো হেভিওয়েট নেতাদের, পিছমোড়া করে পরানো হলো হাতকড়া

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

যাত্রাবাড়ী থানার জিহাদ হোসেন ও ওয়াসিম শেখ হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইভাবে, যাত্রাবাড়ী থানার জিহাদ হোসেন হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
 

এছাড়া, যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক কিছু মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম, ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, ভোলা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আনিসুল হকসহ অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে আনিসুলের আট দিনের এবং মামুনের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আনিসুলের দুই মামলায় ছয় দিন এবং মামুনের এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 

এদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে আদালতে তোলার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পেছনে দুই হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় ছিল। তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো ছিল এবং পুলিশ তাঁকে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিয়ে, হেলমেট মাথায় এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল।
 

সালমানের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তাঁরও হাতে বাঁধা ছিল হাতকড়া এবং তিনি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিধান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে, মামুনের পেছনে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যাঁর হাতে দুই হাতকড়া পরানো ছিল এবং আকাশি রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত ছিলেন। আনিসুলের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, যাঁরও হাতে হাতকড়া পরানো ছিল এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিহিত ছিলেন।
 

পরবর্তী আসামিরা ছিলেন সাবেক বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তাঁদেরও পেছনে হাতকড়া পরানো ছিল এবং কিছু পুলিশ সদস্য তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।
 

এ সময় তাঁদের কাঠগড়ায় তোলা হলে আনিসুল, সালমান এবং নুরুজ্জামানের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। যখন এই তিনজনের হাতকড়া খোলার সময় তাঁরা বিমর্ষভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন সালমান এবং আনিসুল নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। দীপু মনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।
 

তাদের কথোপকথনের মাঝে, একটি পুলিশ সদস্য বিচারকের আগমনের ঘোষণা দেন, যার পর সবাই চুপ হয়ে যায় এবং রিমান্ড ও গ্রেপ্তার শুনানি শুরু হয়।