সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহসভাপতি খায়রুল বাশার, একেএম মহসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বাছির জামাল, এরফানুল হক নাহিদ ও মোরসালিন নোমানী প্রমুখ।
বিএফইউজের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকর
স্বাধীন ও কার্যকর তথ্য কমিশন গঠন
নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড প্রণয়ন
সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন ও দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি নিশ্চিত
সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধ
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কালাকানুন বাতিল
পৃথক শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা ও অভিন্ন জাতীয় সংবাদমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন
এছাড়া অনলাইন, টেলিভিশন ও রেডিও সাংবাদিকদের জন্য সমন্বিত ওয়েজ বোর্ড গঠন, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে সাংবাদিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত, মফস্বল সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন, ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে বীমা ও ক্ষতিপূরণ সুবিধা, নারী সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
সংগঠনটি আরও দাবি করে— গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনলাইনভিত্তিক ও সহজ করা, বিজ্ঞাপন রেট বাস্তবসম্মতভাবে বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা, নির্বাচনকেন্দ্রিক সংবাদ সংগ্রহে বাধা অপসারণ, নিউজপ্রিন্টে শুল্ক ও কর হ্রাস, এবং সাংবাদিকতাকে পূর্ণাঙ্গ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা।
বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন,
“আমরা এমন একটি পরিবর্তিত গণমাধ্যম চাই, যেখানে সাংবাদিকরা কোনো চাপ ছাড়াই সত্য তুলে ধরতে পারবেন। অনুসন্ধান হবে সত্যের সমাহার, আর দায়িত্ববোধ হবে সাংবাদিকতার মূলশক্তি।”
সমাবেশে বক্তারা সাংবাদিকদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।