মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে এবং বুধবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির প্রথম আইটেম হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে।
এর আগে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সোমবার ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ কারণে ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত নির্বাচন আটকে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদন জানালে চেম্বার আদালত সাময়িকভাবে নির্বাচন আয়োজনের বাধা দূর করেন।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন দাখিল করলে সেটি সম্পূরক কার্যতালিকায় উঠে আসে এবং শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ আগস্ট এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিট আবেদন করেছিলেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শুধু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিতই নয়, বরং রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন— ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা দেওয়া কেন কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না।
আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছেন, ফরহাদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শেষে উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।