বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর বন্ধ চট্টগ্রামে কয়েক শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিপাকে

প্রকাশকালঃ ২২ মার্চ ২০২৩ ১২:১৮ অপরাহ্ণ ৪২৩ বার পঠিত
বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর বন্ধ চট্টগ্রামে কয়েক শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিপাকে

চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের সংযোগ স্থানান্তর নিয়ে গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছে। গ্যাসের পুনঃসংযোগ না পাওয়ায় চট্টগ্রামে কয়েক শত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারছে না। সড়ক সম্প্রসারণসহ নানা কারণে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ বা দোকান অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু আগে বৈধ সংযোগ থাকলেও এসব গ্রাহককে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর দিচ্ছে না কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি।

জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি পরিপত্র জারি থাকায় সংযোগ স্থানান্তর দেওয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের অনেক আবেদন আমার কাছে রয়েছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেশের অন্যান্য কোম্পানিতে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে সড়ক সম্প্রসারণের কারণে সড়কের পাশে থাকা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর,কাট্টলি,মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ বোস্তামি, চান্দগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে।  এদের মধ্যে রয়েছে হোটেল,  রেস্তোরাঁ,  বেকারিসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আবার উচ্ছেদ ছাড়াও  অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দোকান মালিকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দোকান ছেড়ে দিতে হয়েছে। এসব দোকানি অন্য জায়গায় ব্যবসা চালু করেছেন। আগের জায়গায় ব্যবসা শুরুর সময় তারা বৈধভাবে সব প্রকার সরকারি ফি পরিশোধ করে গ্যাস সংযোগ নিয়েছেন। কিন্তু এখন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তিত স্থানে তাদের গ্যাসের বৈধ সংযোগ ট্রান্সফার দিচ্ছে না। এর ফলে অনেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন উত্তর) প্রকৌশলী শফিউল আজম খান বলেন, ‘২০১৬ সালে একটি পরিপত্র জারি হয়েছে। এতে উল্লেখ রয়েছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর স্থগিত থাকবে। ফলে চট্টগ্রামে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর দেওয়া যাচ্ছে না।’

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি ঠিকাদার সমিতির সভাপতি একরামুল হক চৌধুরী বলেন, গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর এটি বৈধ প্রক্রিয়া। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থানান্তর হতে পারে। কিন্তু বৈধ সংযোগ স্থানান্তর দিচ্ছে না কোম্পানি। সংযোগ না পাওয়ায় অনেকেই হোটেল রেস্তোরাঁ চালু করতে পারছে না। তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংযোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না।’ বর্ধিত চুলায় অবৈধ সংযোগ ও বকেয়া বিলের কারণে কয়েক মাস আগে প্রায় আড়াইশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব গ্রাহক বকেয়া বিলও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু গ্যাস সংকটের অজুহাত দেখিয়ে এসব বৈধ গ্রাহকরাও অনেকদিন যাবত পুনঃসংযোগ পাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। তবে এখন পুনঃসংযোগ চালু করা হয়েছে। কোম্পানির বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে পুনঃসংযোগ দেওয়া হচ্ছে।