সুন্দরবন সীমান্তে কড়া নজরদারি, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সতর্ক প্রশাসন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৪ অপরাহ্ণ   |   ১২৫ বার পঠিত
সুন্দরবন সীমান্তে কড়া নজরদারি, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সতর্ক প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক:-

 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমা ঘিরে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নদী ও বনভূমি ঘেরা এই সীমান্তে বিএসএফের (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) পাশাপাশি কোস্ট গার্ড মোতায়েন রয়েছে বঙ্গোপসাগরের অংশে। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে ড্রোন, সেন্সর, ক্যামেরা এবং নাইট ভিশন ক্যামেরা।
 

পাশাপাশি, উপকূলীয় থানা ও পুলিশের পক্ষ থেকেও টহল ও নজরদারির কাজ চলছে দিনরাত। নদীপথে যেকোনো জলযান দেখলেই চলছে তল্লাশি। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র যাচাই করা হচ্ছে। বর্তমানে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জলযান চলাচল সীমিত, ফলে সন্দেহজনক যেকোনো নৌযানেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বাংলাদেশি জাহাজগুলোর দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
 

সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট জানান, "উপকূলবর্তী এলাকায় পূর্বেও নজরদারি চলত, তবে এখন তা আরও জোরদার করা হয়েছে। নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। নাকা চেকিং ও তল্লাশি নিয়মিতভাবে চলছে।"
 

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জল, স্থল ও আকাশপথে নজরদারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক ইজরায়েলি রাডার প্রযুক্তি। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমা এবং ৪৪ কিলোমিটার স্থলসীমা রয়েছে। এই পুরো অঞ্চলজুড়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
 

এদিকে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশপথ ব্যবহার করে ভারতকে লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করতে পারে কিছু সশস্ত্র সংগঠন। সেই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতেই সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।