গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা

প্রকাশকালঃ ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ ৩৫৪ বার পঠিত
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা

র্ভাবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেওয়া যাবে না। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখা বাচ্চার ওজনের ওপর প্রভাব ফেলে না। কিন্তু কোনো গর্ভবতী মায়ের যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং তিন বেলা ইনসুলিন নিয়ে থাকেন, তবে তার রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ব্লাড সুগার কমে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে।

গর্ভাবস্থায় যদি শারীরিক অবস্থা রোজা রাখার মতো না হয়, সে ক্ষেত্রে রোজা পরে করে নেওয়া যায় বলে ইসলামিক স্কলাররা মত দিয়েছেন। যদি সুস্থ অনুভব না করেন, তাহলে প্রয়োজনে আপনি আপনার ডাক্তার ও ইসলামিক স্কলারের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিন রোজা রাখতে পারবেন কি না।


গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখলে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করবেন—

* ক্লান্তি কমাতে বিশ্রামের সময় বাড়িয়ে দিন

* যত দূর পারা যায় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন

* দিনের বেলায় বেশি হাঁটবেন না, অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না

* ভারী কিছু বহন করবেন না

* সাহরি ও ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খান

* যদি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে তাহলে চিনি, মিষ্টি, মিষ্টিজাতীয় ফল যত দূর পারা যায় এড়িয়ে চলুন।

* ইফতারে সহজে হজম হয় এমন খাবার খান। সাহরিতে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখুন। যেটা আপনাকে অনেকক্ষণ এনার্জি দেবে।

* পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান

* ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন


যেসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন—

* গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া কম মনে হলে

* তলপেটে ব্যথা অনুভব করলে

* পর্যাপ্ত বিশ্রাম করার পরও ঘুম ঘুম ভাব বা দুর্বলতা অনুভব হলে

* বমি ও মাথা ব্যথা হলে

* জ্বর জ্বর ভাব হলে

* ঘন ঘন প্রস্রাব হলে এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে


যদিও ইসলামে গর্ভবতী মায়েদের রোজা রাখার ব্যাপারে শিথিলতা আছে, মায়েরা রোজা রাখতে পারবে কি না, তা নির্ভর করবে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়ই যদি সুস্থ থাকে তাহলে রোজা রাখতে বাধা নেই।

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হয়। তাই এই সময়ে মায়ের সঠিক মাত্রার পুষ্টি, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড খেতে হয়। তাই বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিলে ডাক্তার ও ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শে রোজা পরে করে নিতে পারেন।


পরামর্শ দিয়েছেন-

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজি ও ইনফার্টিলিটি বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

শাহবাগ, ঢাকা।