২০০১ সালের পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার মামলার রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্ট। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৮ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ) হিসেবে রেখে দেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
মুফতি আবদুল হান্নান (পরবর্তীতে অন্য মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়), মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আব্দুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান এবং মাওলানা আরিফ হাসান সুমন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন:
হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ এবং শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়, তবে একাধিকবার বেঞ্চ পরিবর্তনের কারণে তা দীর্ঘ সময় স্থগিত থাকে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হুজির বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। পরে রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৮ সালে সিআইডি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর বিচারিক আদালতের রায়ে মামলাটি উচ্চ আদালতে গড়ায়।