নেত্রকোনার নতুন জেলা প্রশাসক মুরাদনগরের কৃতি সন্তান, আনন্দে ভাসছে এলাকাবাসী

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ আগu ২০২৫ ০৩:৪২ অপরাহ্ণ   |   ৫৪ বার পঠিত
নেত্রকোনার নতুন জেলা প্রশাসক মুরাদনগরের কৃতি সন্তান, আনন্দে ভাসছে এলাকাবাসী

মো: কাউছার সরকার (বিশেষ প্রতিনিধি):-


 

পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, নেত্রকোনা ও খুলনাসহ ছয় জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
 

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (উপসচিব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তাঁর এই পদায়নে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলাজুড়ে বইছে আনন্দের ঢেউ। শত শত মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে শুভেচ্ছা ও গর্ব প্রকাশ করছেন।
 

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১ নম্বর শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভূতাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত হারুন অর রশিদ ছিলেন কামাল্লা ডি.আর. উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মা রেনু বেগম গৃহিণী। ছোট ভাই বর্তমানে ব্যাংকার এবং একমাত্র বোন পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
 

শিক্ষাজীবন শুরু হয় ভূতাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন কামাল্লা ডি.আর.এস. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন রামচন্দ্রপুর আব্দুল মজিদ কলেজে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স সম্পন্ন করে প্রথমে ২৬তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর পুনরায় ২৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন।
 

প্রশাসনিক জীবনে তিনি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া নেত্রকোনা সদর ও জামালপুর সদরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে পটুয়াখালির বাউফলে দায়িত্ব পালনকালে জনসেবায় তাঁর নিষ্ঠা ও দক্ষতা আলোচিত হয়। বর্তমানে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (উপসচিব) পদে কর্মরত ছিলেন।
 

স্থানীয়দের মতে, তিনি একজন সৎ, পরিশ্রমী ও জনবান্ধব কর্মকর্তা। ভূতাইল গ্রামসহ পুরো মুরাদনগরবাসী তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনদের বিশ্বাস, তাঁর সততা, অভিজ্ঞতা ও উন্নয়নমুখী নেতৃত্ব নেত্রকোনার প্রশাসনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
 

এ প্রসঙ্গে ভূতাইল গ্রামের বাসিন্দা কমল সরকার ও সুজন মুন্সি বলেন, “আমাদের গ্রামের সন্তান আজ জেলা প্রশাসকের মতো মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করি।”