ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে লাশ কাটার কাজ করছেন আবদুর রহিম বাদশা। লাশ কাটাই তার পেশা। ফেনী ও আশপাশের জেলার হাজার হাজার লাশ কেটে ময়নাতদন্তে সহযোগিতা করেছেন এই অক্লান্ত কর্মী।
তবুও দুঃখের বিষয়, এত বছর কাজ করার পরও তার চাকরি এখনও স্থায়ী হয়নি।
বরিশালের কোতোয়ালি থানার টিবি হাসপাতাল রোড এলাকায় আবদুর রহিমের বাড়ি। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গের ডোম হিসেবে নিজের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
জানা গেছে, আবদুর রহিম দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে মর্গে কর্মরত। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে নিয়মিত লাশ কাটার কাজ করতে হয় তাকে।
ফেনী জেলাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে নিয়মিত আসা জ্ঞাত-অজ্ঞাত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তাকেই ডাকা হয়।
আজ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৬ হাজার লাশ কেটেছেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য এই কঠিন কাজটিই করে থাকেন তিনি।
আবদুর রহিম বলেন, "মানবতার স্বার্থেই আমি এই কাজ করি।"
তবে দীর্ঘদিন ধরে এই মর্গে কোন স্থায়ী ডোম নেই।
তিনি আরও বলেন, "যদি আমার চাকরি স্থায়ী করা হতো, তাহলে আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।"
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি:
চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করে আসছেন আবদুর রহিম। তার দাবি যদিও এখনও মঞ্জুর হয়নি, তবুও আশা ছেড়ে নেই এই অক্লান্ত কর্মী। তিনি বিশ্বাস করেন, একদিন হয়তো তার ন্যায্য দাবি পূরণ হবে।
আবদুর রহিমের মতো অনেক কর্মী রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের নিয়োগ স্থায়ী করার দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এই কর্মীদের নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাও জরুরি।