আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় নবাগত জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পূর্বের সকল বদনাম ঘুচানো হবে। এজন্য সারা দেশে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ চেইন অব কমান্ড ঠিক করা হচ্ছে। অতীতের অনিয়মের কারণে জবাবদিহিতা কম ছিল। এখন থেকে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরাসরি সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের কাছে রিপোর্ট করবেন। এরপর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)-এর কাছে এবং তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট করবেন। এছাড়া, একজন এসআই বা উপ-পরিদর্শকের বার্ষিক কর্মমূল্যায়ন (এএসিআর) লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সার্কেল পুলিশ সুপারকে, যা চেইন অব কমান্ড ও জবাবদিহিতাকে আরও কঠোর করবে।
মতবিনিময়কালে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিকসহ বিভিন্ন সার্কেলের অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, কুমিল্লা নগরীর অন্যতম বড় সমস্যা হলো যানজট। শহরের প্রায় ৩৬ হাজার যান চলাচল করলেও সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার। তিনি জানান, টোকেন বানিজ্য যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ অভিযানের কাজ শুরু হবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানে সরকারি অস্ত্র লুট হওয়ার চেষ্টা রয়েছে। এখনও কুমিল্লা জেলায় ১৭টি অস্ত্র ও ৪,২৬৬টি গোলাবারুদ উদ্ধার বাকি রয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, কুমিল্লা জেলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধ এবং হয়রানিমূলক মামলার সঙ্গে জড়িত কার্যক্রম প্রতিরোধে জেলা পুলিশ আরও বেশি সতর্ক থাকবে, যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতিজনক পরিস্থিতি রোধ করা যায়।
