নারীদের চোখের সাজে কাজল যেন অপরিহার্য। নারীদের চোখের যত্ন নেওয়ার এই বিষয়টি এড়ানোর নয়। গরমে চোখে কাজল ধরে রাখা বেশ কষ্টকর। যত ভালো ব্র্যান্ডেরই কাজল হোক না কেন, ঘেমে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বা লেপটে যায়। ধরুন আপনি নিখুঁতভাবে কাজল পরে বাইরে বের হলেন, ঠিক ২-৩ ঘণ্টা পর দেখবেন কাজল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তখন অনেকেই ভেবে থাকেন, দাম দিয়ে নকল কাজল কিনেছি। আদতে ব্যাপারটি এমন নয়। বরং কিছু টোটকার মাধ্যমে কাজল চোখে ভালোভাবেই রাখতে পারেন।
বরফ কাজল পরার আগে চোখের চারপাশে একটু বরফ ঘষে নিন। তাতে ঘাম কম হবে। চোখের ফোলা ভাবও কমবে। এবার চোখে সামান্য পরিমাণে ‘অয়েল ফ্রি’ ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। ব্রাশ দিয়ে চোখের পাতায় সেটিং বা লুজ পাউডার মেখে নিন। তারপর চোখের ‘স্মাজপ্রুফ’ কাজল পরে নিন।
বেশি কাজল নয়
চোখের কোণে বেশি কাজল পরবেন না। কারণ, চোখের কোণ থেকে জল বেরোলে কাজল ঘেঁটে যাবে। কাজল পরার পর উপর থেকে ‘ওয়াটার প্রুফ’ আইলাইনার দিয়ে নিন। এই টোটকা মেনে চললে সহজে কাজল ধেবড়ে যাবে না। সব শেষে চোখের চারপাশে থাকা অতিরিক্ত পাউডার ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিলেই হবে।
বিবি বা সিসি ক্রিম কাজল লাগানোর আগে চোখের চারপাশে বিবি বা সিসি ক্রিম দিয়ে হালকাভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এতে অতিরিক্ত তেল চলে যাবে এবং চোখের চারপাশের কালচেভাবে ঢেকে যাবে। এবার চোখের কোণে যাকে অতিরিক্ত তেল জমে না থাকে; সেজন্য একটি ইয়ার বাড দিয়ে হালকা করে পরিষ্কার করে নিন।
ওয়াটার লাইনে কাজল লাগান চোখে উপরের ও নীচের ওয়াটার লাইনে কাজল লাগান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চোখের ভিতরের কোণে কাজল ব্যবহার করবেন না। এতে চোখ ভিজে কাজল স্মাজ হয়ে যায়। চোখের উপরের ওয়াটার লাইনে কাজল লাগালে চোখ সুন্দর ও বড় দেখায়। উপর ও নীচের ওয়াটার লাইনে কাজল ব্যবহারের পরে কোনো ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার তার উপরে লাগিয়ে নিন। আইলাইনার চোখের কোণেও লাগাতে পারেন। এতে কাজল ছড়াবে না। কাজল ও আইলাইনার পরার পরে একটু হালকা করে পাউডার চোখের চার পাশে লাগিয়ে নিন। এতে কাজল ছড়াবে না।