রাজিবপুরে রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ আগu ২০২৫ ০৯:১১ অপরাহ্ণ   |   ৬২ বার পঠিত
রাজিবপুরে রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

মোখলেছুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধি (কুড়িগ্রাম):-

 

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার মাঠগুলোতে পুরোদমে শুরু হয়েছে জমি প্রস্তুতের কাজ। রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতি বছরই লাভের মুখ দেখে চাষীরা, এবারও ভালো ফলনে ভালো দামের প্রত্যাশা। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা।

 

প্রখর রোদের কারনে জমিতে পানি না থাকায় কিছুটা দেরী করে এবার  আমন চাষ শুরু হয়েছে। অনেক এলাকায় শ্যালো মেশিন অথবা গভীর নলকুপের সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে আগাম চাষাবাদ শুরু করেছেন। তবে গত মাসের শেষ সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে চাষীরা জমিতে চাষ দেয়াসহ জমি চাষাবাদের জন্য কাজ শুরু করেছেন। অনেকেই তাদের জমিতে ধানের চারা রোপন করেছেন।

 

রাজিবপুরের বিভিন্ন এলাকার চাষীরা জানান, ইরি ধানের চেয়ে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতিবছরই আমন চাষ করে থাকেন। বৃষ্টি হওয়ায় এখন তারা চাষাবাদে ব্যস্ত। সেচ খরচ নেই বললেই চলে, তবে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় আমন চাষে। উপজেলার কোদালকাটি, মোহনগঞ্জ ,ভেলামারি, চর সাজাই বদরপুর.টাঙ্গালিয়াপাড়া.মদনেরচর আনন্দবাজার সহ অনেক এলাকায় আমনের চাষ হয়ে থাকে।

 

জানা গেছে, ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মন ধান পাওয়া যায়। জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধান রোপন করে চাষীরা। আগাম জাতের ধান অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু হলেও নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধান কর্তন শেষে কৃষকের ঘরে উঠে সোনালী ফসল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবারও ভালো ফলন হবে বলে প্রত্যাশা করেন কৃষকরা।

 

রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. দেলোয়ার হোসেন  বলেন, এ বছর রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৩৪০ হেক্টর জমি কিন্ত অর্জিত হয়েছে ১১০৫হেক্টর জমিতে । এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজিবপুরে কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে রোপা আমন ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বছরের এই সময়ে জমি পতিত না রেখে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এখন বাড়তি ফসল হিসেবে রোপা আমন  চাষীদের সরকারিভাবে প্রণোদনাসহ আমাদের মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা সার্বক্ষণিক রোগ আক্রমণ প্রতিরোধে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।