ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করলে বাড়তি কর আসবে ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

প্রকাশকালঃ ২০ মে ২০২৪ ০১:১৭ পূর্বাহ্ণ ১২০ বার পঠিত
ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করলে বাড়তি কর আসবে ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গবেষণা করেছে যে ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করলে প্রতি বছর বাড়তি ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব, বর্তমানে এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগে ডিজিটালাইজেশন থাকলেও তাদের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় তা কার্যকর হচ্ছে না, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ২০২০ সালের মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাত সাড়ে ১৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা ৮ শতাংশের নিচে, ই-ফাইলিং এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করলে ২০৩০ সালের মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাত ১৬ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব।

 

অর্থমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন যে রাজস্ব বৃদ্ধি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি রয়েছে।এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন যে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগের কারণে কিছু ক্ষেত্রে করদাতার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন যে সরকারি ব্যয় স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক না হলে জনগণ কর দিতে উৎসাহী হবে না।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেছেন যে এনবিআরের প্রশাসনিক সংস্কার করতে হবে।

পরিকল্পনা:

  • আগামী অর্থবছরে করপোরেট ট্যাক্স অনলাইনে আনা হবে।
  • ভ্যাট আদায় বাড়াতে ক্রেতারা ইনভয়েস নিলে ক্যাশব্যাক পাবেন।
  • রাজস্ব আহরণের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে।

সিপিডির সুপারিশ:

ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করা। এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা। অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা। কর আদায় ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা। এনবিআরের প্রশাসনিক সংস্কার করা।

ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করলে বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। এটি করদাতাদের জন্য আরও সুবিধাজনক করবে এবং সরকারকে আরও বেশি রাজস্ব আহরণ করতে সাহায্য করবে।