রাজধানীর পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম ও প্রেসক্লাব এলাকায় সাত রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ সাতটি দল চার দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছে।
বিকেল তিনটার দিকে বায়তুল মোকাররম গেট, গুলিস্তান ও পুরানা পল্টন মোড় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। এসময় হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের একটি মিছিল পুরানা পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ রাস্তাগুলোতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
গুলিস্তান জিপিও মোড়ে আটকে থাকা বাসযাত্রী সুমন নামে এক চালকের সহকারী বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে গাড়ি ছাড়ার পর তেমন যানজট ছিল না। কিন্তু গুলিস্তানে পৌঁছানোর পর প্রচণ্ড যানজট শুরু হয়। পুরানা পল্টন মোড় পার হতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।”
বিক্ষোভের কারণে পল্টন, সচিবালয়, মতিঝিল, গুলিস্তানসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অনেকে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে শুরু করেন। বিক্ষোভ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররম ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—জুলাই সনদ কার্যকর করা, রাষ্ট্র সংস্কার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং অভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যার দ্রুত বিচার। এর আগে ফেব্রুয়ারিতেও জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন দাবিতে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলগুলো।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা ও উপজেলায় একই কর্মসূচি পালিত হবে।
এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে সাতটি রাজনৈতিক দল—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। কেউ পাঁচ দফা, কেউ ছয় দফা বা সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন।