ঢাকা প্রেস
নওগাঁ প্রতিনিধি:-
নওগাঁয় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল সাফায়েত শামীম এর পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
আজ শনিবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা বলেন, পানের দোকান দোকানদার থেকে হঠাৎ অধ্যক্ষ হয়ে কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি শুরু করেন আব্দুল্লাহ আল সাফায়েত শামীম। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নিয়ম না মানা সহ নিজের পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে কলেজে চাকরি দেয়ার অভিযোগ করেন তারা।
শিক্ষক ডা. ওহিদুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম শুরু করেন। নিয়োগ কালীন সময় কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩-৪ লক্ষ টাকা করে মোট ঢের কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। আবার তার পরিবারের যে সকল শিক্ষকেরা আছে তাদের বেতন নিয়মিত দেয়া হয় কিন্তু অনেকে কলেজ না করেও বেতন নিয়মিত পায় আবার কয়েকজনের ৪২-৫৭ মাসের বেতন বকেয়া।
তিনি আরো বলেন, ভূয়া পকেট কমিটি দেখিয়ে কলেজ পরিচালনা করছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অধ্যক্ষের সালিকা ডাঃ মোছাঃ হাফিজা আক্তার, শ্যালক-ডাঃ মোঃ খোরশেদ আলম, ভায়রা-ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য কাজী আতিকুর রহমানের সহধর্মীনি-ডাঃ মোছাঃ হেলেনা আক্তার ও তার বোন-ডাঃ মোছাঃ ছাবিনা ইয়াসমিনকে কলেজে চাকরি দিয়ে ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠানকে স্বজনপ্রীতি আত্নীয়করনে পরিনিত করে। এছাড়াও অনেক দূর্নীতির অভিযোগ আছে তার নামে। প্রতিবাদ করতে গেলে আওয়ামীলীগ সংগঠনে পদে আছে বলে ভয়-ভীতি দেখায়।
ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন,কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আমি এই কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে ছিলাম দীর্ঘদিন কিন্তু হঠাৎ করেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম আসার পড়ে প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় নানা রকম দূর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তার ইচ্ছামত তার পরিবারের সদস্য থেকে। কেউ ভয়ে কথা বলার সাহস করে না কারন কথা বললেই চাকরি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে সে। দীর্ঘদিন নিপিড়ীত হয়ে আসছে এই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের ফেল করানোর ভয় দেখায় এরপর নামে বেনামে ছাত্রদের কাছ থেকে ৮-১০ হাজার টাকা জোর করে আদায় করে আত্মসাৎ করে। আমরা অতি শীঘ্রই তার পদত্যাগ চাই, আর কোনো জালিমের হাতে বন্দি থাকতে চাইনা।
সাবেক শিক্ষার্থী ডা.সায়মা আক্তার বলেন, আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন দেখেছি তিনি আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো। প্রতিবাদ করার কোনো উপাই রাখেনি সে কারন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল সেজন্য তার দাপট ছিল পুরো কলেজ জুড়ে।
শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, আমরা দেখেছি এর আগে অনিয়মের খবর বিভিন্ন পেপার পত্রিকা ও জেলা প্রশাসক অবহিত করাও মহামান্য হাইকোর্টে রীট দায়ের করলে দুদক বরাবর তদন্তের আদেশ হলেও আওয়ামী প্রভাবের কারনে কোন তদন্তও অদ্যবধি হয়নি । তার ভাষা আমার কথামত কলেজ চলবে, মেনে নেন না হলে মানিয়ে নেন। না হলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করতো অধ্যক্ষ শামীম। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা অতি শীঘ্রই পদত্যাগ চাই।