নরপিশাচদের শহীদ পরিবারের সামনে দাঁড় করানো উচিত: সারজিস

প্রকাশকালঃ ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫১ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
নরপিশাচদের শহীদ পরিবারের সামনে দাঁড় করানো উচিত: সারজিস

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আজকের বাংলাদেশে আমাদের শুনতে হয় সেই কালপ্রিট এবং নরপিশাচদের কথা, যারা প্রশ্ন করে, ‘‘স্নিগ্ধ আর মুগ্ধ এক ব্যক্তি’’। তখন আমাদের মনে হয়, সেই নরপিশাচরা যেভাবে এত বড় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন শহীদ পরিবারের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।
 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
 

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘‘প্রায় দুই হাজার মানুষকে খুন করা সেই ফ্যাসিবাদী দোসরদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। প্রায় অর্ধ লাখ মানুষকে রক্তাক্ত করা, শত শত ভাই-বোনকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখানোর সুযোগ না দেওয়া, শত শত বীর যোদ্ধা যাঁরা আর কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না, এমন অনেক বীর যোদ্ধা আছেন যাঁরা আর কখনো নিজের বাবা-মা বা স্ত্রীকে নিজের হাতে জড়িয়ে ধরতে পারবেন না। এই নরপিশাচদের আমাদের শহীদ পরিবার ও সহযোদ্ধাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া উচিত।’’
 

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখনো রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় ব্যত্যয় দেখছি। কারণ বিগত ১৬ বছরে এ সুবিধাভোগীরা ছিল এবং তারা এখনো বিভিন্ন চেহারায় বা গিরগিটির মতো রূপ পাল্টে রাষ্ট্র কাঠামোয় রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, যখন আমরা রাষ্ট্র কাঠামোর যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে এগোই, তখন ওই মানুষগুলো আমাদের বিভিন্ন জায়গায় অবহেলা দেখান।’’
 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘‘যখন আমরা শহীদ পরিবার ও সহযোদ্ধাদের ফাইল নিয়ে সচিবালয়ে যাই, তখন আমাদের টেবিল থেকে টেবিলে যেতে হয়। এখনও অনেকেই আছেন রাষ্ট্র কাঠামোয়, যারা চান না এই অভ্যুত্থান টিকে থাকুক।’’
 

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

এছাড়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এবং ৩ লাখ টাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।