স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী তাসলিমার নাতি-সমতুল্য, ছোটবেলা থেকেই তার নানাবাড়ি বাবরা গ্রামে বসবাস। তাসলিমার বাড়ি ছিল পার্শ্ববর্তী। নিয়মিত যোগাযোগ থেকেই তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় এবং তা এক পর্যায়ে পরকীয়ায় রূপ নেয়।
১৩ দিন পর, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কুষ্টিয়া থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। পরে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে থানায় একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়।
সভায় তাসলিমার স্বামী মান্নান মিস্ত্রি তাকে পুনরায় গ্রহণে সম্মতি দেন। তবে মেহেদীর পরিবার তাসলিমাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়নি। শেষমেশ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাসলিমাকে তার স্বামীর জিম্মায় এবং মেহেদীকে মামা আজিজুর রহমানের জিম্মায় দেওয়া হয়। এ সময় তাসলিমা ও মেহেদী দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় সমাজসেবক ওসমান বিশ্বাস জানান, দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে আলোচনার মাধ্যমে উভয়কে পরিবারের জিম্মায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।