ঢাকা প্রেস
মোঃ শফিকুল ইসলাম,রাজশাহী প্রতিনিধি:-
পদ্মার অপরুপ সৌন্দর্য বিধৌত এই চারঘাট............
প্রভাতের শিশির ভেজা ঘাস আর ঘন কুয়াশার চাদরে ভেজা হেমন্তের শেষে শীতের আগমনের বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে শীত শুরু হয়ে গেছে। শীতের আমেজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার গাছিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খেজুর গাছ থেকে গাছিদের রস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
পদ্মার অপরুপ সৌন্দর্য বিধৌত উপজেলা চারঘাটে, যেখানে নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতে মেলে সুস্বাদু খেজুরের রস। রস সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে অধিকাংশ গাছ তৈরি করা হয়েছে। অধিকাংশ গাছ থেকে শুরু হয়েছে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি ইতিমধ্যে এ বিষয়টি কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলগুলোতে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।
আর এই শীত মৌসুমে সংগৃহীত রস থেকে চারঘাটে প্রায় ২ হাজার ১৬৭ মে:ট্রন গুড় উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন কৃষি বিভাগ। এর ফলে চাঙা হয়ে উঠবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি খেজুর গাছ। শুধু চারঘাট উপজেলায় খেজুর গাছের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।
চারঘাট উপজেলার মিয়াপুর এলাকার চাষী সাকিম আলী বলেন, আমার প্রায় শতাধিক খেজুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করে রস সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। বাকি গাছগুলোও ইতিমধ্যে প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়েছে। সেগুলোতেও দ্রæত সময়ের মধ্যেই রস সংগ্রহ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, গত শীত মৌসুমে শতাধিক’ গাছের রস থেকে গুড় তৈরি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে। অথচ খেজুর গাছের পরিচর্যার জন্য ব্যয় করতে হয়নি। এছাড়া ৩০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাজারে গুড়ের দাম ভালো থাকলে এবারও ভালো টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছি।
গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত গাছি সাইফুল ইসলাম বলেন,নভেম্বর মাসের শেষ থেকে মার্চ-এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমরা গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকি।একেকজন গাছি প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, চারঘাটে প্রায় ২লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। আর এই শীত মৌসুমে এসব গাছ থেকে প্রায় ২ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের প্রত্যশা করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে
খেজুরের গুড়কে কেন্দ্র করে এই এলাকার চাষিরা ব্যাপক ব্যাতি ব্যস্ত হয়ে পড়ে।