ঢাকা প্রেস নিউজ
বাংলাদেশ সরকার সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও আনসার-ভিডিজিবি সহ মোট ১০ টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রেশন সরবরাহকৃত চাল ও গমের দাম বৃদ্ধি করেছে। নতুন দাম আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার রেশন ভর্তুকি কমাতে চায়।
কতটা দাম বাড়ছে?
আগের দামে প্রতি কেজি চাল ও গমের দাম ছিল ১.০৯ টাকা থেকে ১.৮০ টাকার মধ্যে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রেশনের চাল ও গমের দাম হবে এ দুটি পণ্যের অর্থনৈতিক মূল্যের ২০%। চলতি অর্থবছরে প্রতি টন চালের অর্থনৈতিক মূল্য ৫১,৮৯৪.৫৮ টাকা এবং প্রতি টন গমের অর্থনৈতিক মূল্য ৪৭,৩০২.১৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে, নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি রেশনের চালের দাম হবে ১১ টাকা এবং আটার দাম হবে ১২ টাকা। অর্থাৎ, চাল ও গমের দাম ৮০০% বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সরকার দীর্ঘ ৩৩ বছর পর রেশন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। রেশন সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং রেশন পণ্যের বাজারমূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারের ভর্তুকি বেড়ে যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ ৭,৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রেশনের চাল ও গমের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সরকার ভর্তুকির পরিমাণ কমাতে চায়।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এই পদক্ষেপকে সময় উপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি সুপারিশ করেছেন যে সরকারকে ধীরে ধীরে সব রেশন পণ্যের দাম বাড়িয়ে আরও সমন্বয় করতে হবে এবং এক সময় রেশনের ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। অনেকে মনে করেন রেশন পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের রেশন সুবিধাভোগীদের জন্য কষ্টের কারণ হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ১০ টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেশন সুবিধা ভোগ করেন। রেশন সুবিধাভোগীরা পরিবারের আকারভেদে নির্ধারিত পরিমাণে চাল, গম, চিনি, ডাল ও সয়াবিন তেল রেশনের মাধ্যমে কম দামে পান।