পুরনো প্রযুক্তিতে অতিরিক্ত খরচে সৌর বিদ্যুত প্রকল্প

প্রকাশকালঃ ০২ জুলাই ২০২৪ ০৫:৩০ অপরাহ্ণ ৫৩৬ বার পঠিত
পুরনো প্রযুক্তিতে অতিরিক্ত খরচে সৌর বিদ্যুত প্রকল্প

বিশ্বব্যাপী দাম কমছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের। কমছে প্রকল্প ব্যয়, বিপরীতে বাড়ছে উৎপাদন সক্ষমতা। অথচ দেশে সৌর বিদ্যুতের বড় প্রকল্পগুলো করা হচ্ছে পুরনো প্রযুক্তিতে অতিরিক্ত খরচে। বিদ্যুতের দামও ধরা হচ্ছে বেশি।  গেলো ১০ বছরে সৌর বিদ্যুতের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফলে উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অপরদিকে দাম কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। জমির চাহিদাও কমেছে উল্লেখজনক হারে।

 

সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেহেতু ডলারের বিনিময়ে জ্বালানি আমদানি করা লাগে না তাই দেশের অর্থনীতির গতি সঞ্চারেও সৌর বিদ্যুতের গুরুত্ব অনন্য। অথচ এসব প্রকল্পে বাস্তবায়নের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দেশে একের পর এক সৌর বিদ্যুতের প্রকল্প নিচ্ছেন প্রতিযোগিতাহীনভাবে। 

 

ছাদে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিট প্রতি খরচ ৪ থেকে ৫ টাকা পড়লেও জামালপুরের মাদারগঞ্জে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি বি-আর পাওয়ারজেনের  জমিতে ১০০ মেগাওয়াট অনগ্রিড বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেয়া হয়েছে প্রতি ইউনিট ১১ দশমিক ৮০ সেন্টে কেনার শর্তে। টাকার হিসাবে যা দাঁড়ায় প্রায় ১৪ টাকা। সৌরশক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গ্রিড ভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দর নির্ধারন জরুরি। একই সাথে কাগজপত্রে কয়েক বছর আগে নেয়া প্রকল্প এখন অনুমোদন দিতে হলে নতুন করে দর নির্ধারণ জরুরি বলে জানান সৌরশক্তি বিশেষজ্ঞরা।

 

বিআর-পাওয়ারজেনের জমিতে এই প্রকল্প নেয়া হলেও এর ৭০ ভাগ মালিকানা চীনের প্রতিষ্ঠান সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবল এনার্জি কোম্পানির। এরই মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে দাতা সংস্থার ঋণ সহায়তায় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে সেখানে সরকারি কোম্পানির এই যৌথ মালিকানা সমালোচনা করেছেন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাথে মিলিয়ে প্রকল্প ও বিদ্যুতের ব্যয় নির্ধারন করা না গেলে সৌর বিদ্যুতের মূল সুবিধা থেকে দেশের মানুষ বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন তিনি।